ডিএমপি নিউজ: আপনি বাসে করে অফিস বা অন্য প্রয়োজনে কোথাও যাচ্ছেন। কিছু সময় পর দেখতে পেলেন বাসের ভিতর জটলা, এরপর কেউ একজন বমি করে দিয়েছে। যখন ভাড়া দিতে যাচ্ছেন দেখতে পেলেন পার্স ও মোবাইল কিছুই নেই। হ্যাঁ, ডিএমপির তেজগাঁও থানা পুলিশ এমন একটি চক্রের ‘গুরু’ কে গ্রেফতার করেছে। বাসের ভিতর জটলা পাকিয়ে বমি করা ছিনতাই চক্রের ওই গুরুর নাম মোঃ স্বপন প্রকাশ ওরফে চোরা স্বপন।
ডিএমপি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন পিপিএম (বার)।
তিনি জানান, মঙ্গলবার তেজগাঁও থানার ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি ছুরি এবং ছিনতাই করা টাকা উদ্ধার করা হয়। বাসে যাত্রীবেশে উঠে বমি করে যারা ছিনতাই করে তাদের কাছে ‘গুরু স্বপন’ নামে পরিচিত চোরা স্বপন। গ্রেফতার স্বপন বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার সন্তোষপুর গ্রামের মৃত আয়নাল ফকিরের ছেলে।
ওসি আরো বলেন, গ্রেফতার স্বপন চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১০ টি মামলা রয়েছে। তিনি একসময় চুরি করতেন। চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকবার আটকও হন। এ কারণে গ্রামে সবাই চোরা স্বপন নামেই চিনে। গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে তিনি ছিনতাই শুরু করেন। প্রথমে অন্য দলের সাথে থাকলেও পরে নিজেই দল করে নেন। এরপর তিনি নিজেই ‘বমি পার্টি’ করেন। তার দলের সদস্যরা বিভিন্ন বাসে উঠেন। বাসে প্রথমে কৃত্রিম জটলা তৈরি করেন, এরপর কেউ একজন কৃত্রিম বমি করেন। বমি করার পর বাসের মধ্যে এক ধরণের হৈ-হুল্লোড় তৈরি হয়। সে সুযোগে এই গ্রুপের সদস্যরা যাত্রীর মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে যান। তারা যে বমি করেন সেটা কৃত্রিম। চকলেট এবং পানির বিশেষ মিশ্রণে এই কৃত্রিম বমি করা হয়। কৃত্রিম এই বমি সবাই করতে পারে না। এই বমি করার ‘প্রশিক্ষণ’ দেন স্বপন। তাই তাকে এই ধরনের ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা গুরু স্বপন নামেই ডাকেন।
মঙ্গলবার ফার্মগেটে একটি বাসে স্বপন তার আরও দুই সদস্য নিয়ে উঠেন। তারা সেখানে বমি করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে যাত্রীরা দেখে ফেলেন। এসময় দুইজন পালালেও স্বপনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ আটক স্বপনের কাছ থেকে একটি ছুরি ও ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে বলে জানান ওসি মহসিন।