বাংলাদেশের মতো একটি ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে নিকটতম বন্ধু রাষ্ট্র। এই প্রতিবেশি দেশটির সঙ্গে আমরা (ভারত) অনেক কিছুই ভাগাভাগি করি এবং অনেক ক্ষেত্রেই দুই দেশের এই পারস্পরিক সু-সম্পর্ক উদাহরণ হয়ে রয়েছে।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সার্ভিসের ট্রেনি অফিসারদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই মন্তব্য করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। প্রণব মুখার্জি জানান দুই দেশের ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতি এক। দুই দেশের মানুষে মানুষে বন্ধনটাও শক্তিশালী। আর এই কমন ইতিহাসই আমাদেরকে আরও ঐক্যবদ্ধ করেছে’।
দিল্লির ফরেন সার্ভিস ইন্সিটিউট’এ আয়োজিত একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন এই তরুণ কূটনীতিকরা। এরপর এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে এসে তারা ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশের তরুণ কূটনীতিকদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন ‘প্রতিবেশি দেশের ফরেন সার্ভিস থেকে অনেক তরুণ মুখ উঠে আসতে দেখে আমি খুবই আনন্দিত। এই তরুণ কূটনীতিকদের একটি মহান দেশের মূল্যবান প্রতিনিধি হিসাবে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন ‘সুশাসন ব্যবস্থার জন্য এরা নতুন ধারণা ও নতুন পদ্ধতি আনবেন’।
আধুনিক শাসনব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসাবে একটি সুখী সমাজ গড়ে তোলার ওপরেও জোর দেন রাষ্ট্রপতি। প্রণব মুখার্জি আশা প্রকাশ করে বলেন ‘এই তরুণ কূটনীতিকরা ভারত-বাংলাদেশে উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের উত্তরাধিকারকে বহন করতে সক্ষম হবে, কারণ তারা নিজেদের পেশা হিসাবে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস-কেই বেছে নিয়েছে’। তার মতে বাংলাদেশ যখন মুক্ত ও স্বাধীন হয় এবং উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হয়, তখনই তাদের শহীদদের আত্মবলিদান স্বীকৃতি পায়।
রাষ্ট্রপতি জানান ‘মানব উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং অন্য আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখলে বড় ভাল লাগে, উৎসাহ যোগায়’। তার মতে এই তরুণ কূটনীতিকদের হাতেই সে দেশের ভবিষ্যত নির্ভর করছে।