ইনজুরির কারণে দুই ফাস্ট বোলিং সতীর্থ মিচেল স্টার্ক ও জেমস প্যাটিনসনের অনুপুস্থিতিতে বাংলাদেশ সফরে দুই টেস্টের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত জস হ্যাজেলউড।
চলতি বছর শুরুর দিকে ভারত সফরে পায়ের পাতার ইনজুরিতে পড়ে সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্ট মিস করেন বাঁ-হাতি পেসার স্টার্ক। এরপর গত জুনে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফেরেন তিনি। তবে পরবর্তীতে মনে হয়েছে ইনজুরি পুরোপুরিভাবে শেষ হয়নি। দীর্ঘদিন যাবত পিঠের সমস্যায় ভুগছেন প্যাটিনসন।
ডারউইনে দলের অনুশীলন ক্যাম্পে হ্যাজেলউড সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলে মাত্র দুই জন ফাস্ট বোলার থাকছে। কয়েকজন স্পিনার আছে। তবে যেহেতু আমরা দীর্ঘদিন এক সঙ্গে কাজ করছি, সেহেতু সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে আমি মনে করছি। বর্তমান অবস্থায় আমি নিজেকেই একজন আক্রমণের নেতা হিসেবে দেখছি।’
‘আমি প্রথম আসার পর দলের অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং এক জন জুনিয়র থেকে সিনিয়র খেলোয়াড় সবার কাছ থেকেই আমি শিখেছি। সুতরাং সামনে থেকে দলের আক্রমণ ভাগের নেতৃত্ব দিতে বাড়তি কিছু করতে আমি চেষ্টা করব।’ যোগ করেন হ্যাজেলউড।
বাংলাদেশ সফরে ফাস্ট বোলিং পার্টনার হিসেবে প্যাট কামিন্স এবং জ্যাকসন বার্ডকে সঙ্গে পাচ্ছে ২৬ বছর বয়সী হ্যাজেলউড।
এ বছরের শুরুর দিকে ভারত সফরের দলে থাকলেও খেলার সুযোগ না পাওয়া নতুন মুখ মিচেল সোয়েপসনকে পেস বোলারের পরিবর্তে বাংলাদেশের স্পিন সহায়ক কন্ডিশনের কথা বিচেনা করে একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে সুযোগ দেয়া হয়েছে। অফ স্পিনার নাথান লিঁও এবং বাঁ-হাতি স্পিনার এ্যাস্টন আগারের পর তৃতীয় স্পিনার হিসেবে দলে আছেন সোয়েপসন।
নিজ মাঠে বাংলাদেশ গত বছর ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করেছে এবং হ্যাজেলউড দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির কাছ থেকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা বিশ্ব মানের একটা দল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার সত্যি ভাল কিছু ক্রিকেট খেলেছে এবং টেস্ট ক্রিকেটে নিজ মাঠে তাদের রেকর্ড অসাধারণ কিছু। অবশ্যই আমরা তাদেরকে হাল্কাভাবে নিতে পারব না।’
আগামী ২৭ আগস্ট মিরপুরস্থ শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-অস্ট্রলিয়া। চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৪ সেপ্টেম্বর। আগামী ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ পৌঁছবে অস্ট্রেলিয়া দল।