ডিএমপি নিউজ: আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের টার্মিনালের ভিতরে উঠা-নামা করতে হবে। কোন অবস্থাতেই টার্মিনাল হতে বের হয়ে রাস্তায় বাসে যাত্রী উঠা-নামা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো: মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা।
আজ বৃহষ্পতিবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গণপরিবহনগুলো নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে পারবে না। বিশেষ করে ছাদে কোন যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে গমন করবেন না। দূরপাল্লার পরিবহনগুলো মহানগরীর মধ্যে যাত্রী উঠা-নামা করতে পারবে না। এক্ষেত্রে মহানগরীর ভিতরে গেইটলক পদ্ধতি অবলম্বন করা আবশ্যক।
ঈদ যাত্রায় সম্মানিত যাত্রীদের নিজ নিজ মালামাল স্বযত্নে নিরাপদে রাখার জন্য আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যাত্রাকালে অপরিচিত কোন ব্যক্তির দেওয়া কোন খাদ্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। মোটরসাইকেলে যারা দূরে ভ্রমণ করবেন তারা অবশ্যই হেলমেট পরিধান করবেন। তাছাড়া অতিরিক্ত মালামাল বহন না করা, মোটরসাইকেলে দুইয়ের অধিক যাত্রী না উঠা ও মোটরসাইকেলের ফিটনেসের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, ঈদ যাত্রায় ব্যক্তি মালিকানাধীন যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজ ও নথিপত্র অবশ্যই সাথে রাখবেন। গণপরিবহনের ফিটনেসের বিষয়টি মালিক-শ্রমিক পক্ষ নিশ্চিত করবেন। খালি ট্রাক বা পিকআপে যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার যাত্রা করা যাবে না।
সম্মানিত নগরবাসী এবং বাস মালিকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, একজন চালকের সচেতনতা ও সতর্কতা পারে যাত্রাপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এ জন্য যানবাহনের চালক যেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং অসুস্থ না থাকে সে বিষয়টি বিশেষভাবে নজর দিবেন। কোন অবস্থায় চালকরা ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালাবেন না।
রমজানের শেষ দিকে বিভিন্ন মার্কেটে ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং গাড়ি পার্কিং এর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। মার্কেটের আশেপাশে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে আগত যানবাহনের চালকগণকে মার্কেট সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। এছাড়া মার্কেটে আসা লোকজনকে রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে ফুটওভারব্রিজ ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার ও ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানার লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের বাড়ি ফেরার সুযোগ নিয়ে অনেক ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে নামানোর প্রয়াস চালানো হয়। এতে যানজট তৈরি হয়, আবার যাত্রাপথকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। তাই দূরপাল্লার এবং সিটিং সার্ভিস এর বিভিন্ন রুটের গণপরিবহনের মালিকদের এ বিষয়ে সতর্ক থেকে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। যে সব যানবাহনে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে, সেই গ্যাস সিলিন্ডারটি যেন মেয়াদোত্তীর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ না থাকে সে বিষয়টি যাত্রার শুরুতে লক্ষ রাখবেন।
ঈদ যাত্রার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাস যাত্রীদের বাসের অপেক্ষায় টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কে দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভিতরে অবস্থান করবেন। লঞ্চ টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর কেন্দ্রিক যাত্রীদের গমনাগমন সুষ্ঠু করার জন্য ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে।