এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে বাহরাইন মহিলা ফুটবল দলকে গোল বন্যায় ভাসিয়েছে বাংলাদেশের প্রমীলারা। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৫টি ও দ্বিতীয়ার্ধে ৫টি গোল দেয় বাহরাইনের জালে।
সোমবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাহরাইনকে ১০-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা । ম্যাচের শুরু থেকেই বাহরাইনকে চাপে রেখে একের পর এক গোল করতে থাকে বাংলাদেশ।দলের জয়ে জোড়া গোল করেন আনুচিং মোগিনি, মারিয়া মান্ডা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।বাকি চার গোলদাতা সাজেদা খাতুন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, আনাই মোগিনি ও তহুরা খাতুন।
এ নিয়ে পরপর দু’ম্যাচে পরাজিত হল বাহরাইন। নিজেদের প্রথম ম্যাচেও লেবাননের কাছে ৮-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়। বাংলাদেশ ম্যাচের নয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। আনুচিংয়ের নেয়া শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে গেলে সুযোগটি নষ্ট হয়।
তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। ম্যাচের ১২তম মিনিটেই আনাইয়ের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ডি বক্সের বাইরে থেকে মারিয়া মান্ডার আলতো কিক আনাই মোগিনি ধরে কোনাকুনি শট নিলে বল গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে আশ্রয় নেয় (১-০)।
এর ঠিক চার মিনিট পর আবার গোল। এবার গোলদাতা অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা। ডি-বক্সের বাইরে ২৭ গজ দূর থেকে শট নিলে বল গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ায় (২-০)। ১৯তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ভলিতে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বল বাড়ান মারিয়া মান্ডা। সেখান থেকে আনাই মোগিনির নেয়া শট পেনাল্টি বক্সে মধ্যে থাকা আনুচিং মোগিনি হেড করলে বল জালে জড়ায় (৩-০)।
প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রেখেই স্কোরলাইন বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে আনুচিং মোগিনির বাড়ানো বলে শাহেদা শট নিয়ে গোলরক্ষক বল ফিরিয়ে দিলে ফাঁকায় থাকা আনুচিং বল পান। দেরি না করে আলতো টোকায় বল জালে পাঠিয়ে দেন (৪-০)। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় বাংলাদেশ। আনাইয়ের ক্রসে শামসুন্নাহার জুনিয়রের হেডে পরাস্ত হয় বাহরাইনের গোলরক্ষক (৫-০)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঋতুপর্ণার শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়াতে দেননি বাহরাইন গোলরক্ষক জাহরা নেজার আলি। একটু পর মারিয়ার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৫৫তম মিনিটে আঁখি খাতুনের বাড়নো বল নিখুঁত শটে জালে জড়িয়ে দেন আনুচিংয়ের বদলি নামা ফরোয়ার্ড সাজেদা (৬-০)।
দুই মিনিট পর স্কোরলাইন ৭-০ করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। প্রথম প্রচেষ্টায় গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। ৫৮তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ঢোকা শামসুন্নাহার জুনিয়রকে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পান ডানা বাসেম।দুটি হলুদ কার্ড তখন লালকার্ডে পরিণত হয়।স্পট কিক থেকে শামসুন্নাহার সিনিয়রের শট গোলে পরিণত হয় (৮-০)।
৭১তম মিনিটে আবারো দূরপাল্লার শট থেকে দুর্দান্ত গোল করেন মারিয়া মান্ডা।ডি বক্সের বাইরে থেকে মারিয়া মান্ডার কোনাকুনি শট পোস্টের কোণ দিয়ে জালে জড়ায় (৯-০)। ৮০তম মিনিটে সাজেদা বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে তহুরাকে আলতো করে পাস দেন। তহুরা গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দলের গোল সংখ্যা (১০-০) উন্নীত করেন।