ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিকাশের টাকা ডাকাতি চক্রের মূলহোতাসহ চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ শাহীন শেখ, মোঃ সোহেল হোসেন, মোঃ মুন্না ও মোঃ হায়দার। গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে লুন্ঠিত ২টি মোবাইল ফোন ও ১টি ট্যাব উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি, ২টি ছুরি ও ১টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর ও বছিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও জোনাল টিম।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২.০০ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম-বার ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবি বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত আনুমানিক ১১.২৫ টায় শেরেবাংলা নগর থানাধীন বৌ-বাজার মোড়ে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার যোগে আসা চারজন ডাকাত বিকাশ এজেন্টকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে তার সঙ্গে থাকা আট লক্ষ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ সবকিছু ডাকাতি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন আহত বিকাশ এজেন্টকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল এবং পরবর্তী সময়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা রুজু হয়।
তিনি আরো বলেন, থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ও অপরাধীদের অপরাধের ধরণ বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দা পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, বিকাশের টাকা ডাকাত চক্রের মূলহোতা শাহীনের দেওয়া তথ্য মতে অন্যান্য সহযোগীরা যে দোকানে বা ব্যক্তিকে ছিনতাই/ডাকাতি করবে তাকে টার্গেট করে। পরবর্তী সময়ে ১/২ জন প্রথমে রেকি করে, তারপর টার্গেটকৃত ব্যক্তি যখন দোকান বন্ধ করবে বা একা হবে বা বাসায় ফিরবে তখন তাকে গতিরোধ করে ধারালো চাপাতি ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে টাকা ডাকাতি করে আশেপাশে রাখা প্রাইভেটকার যোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই সংঘবদ্ধ দলটি ইতোপূর্বে রাজধানীর বছিলা, মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, আশুলিয়া বেড়িবাধ ও নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোডে একাধিক ডাকাতি/ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
এ সময় সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম-বার বলেন, নিরাপদে বেশি টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতা গ্রহণ করুন।
গ্রেফতারকৃতদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।