বাংলায় ভয়েস টাইপিং অ্যাপ্লিকেশনের উদ্ভাবন করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ। কোনো পেটেন্ট নয়, সবার ব্যবহারের জন্য অ্যাপ্লিকেশনটি উন্মুক্ত করেছেন উদ্ভাবক অগ্নিশ্বর চক্রবর্তী।
কম্পিউটারে বাংলা ফন্টে লিখতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েছেন? কিংবা বাংলা শব্দকে লেখার মাধ্যমে তুলে ধরা যায় এমন কোনো পদ্ধতির কথা শুনেছেন? এ সব কিছুর উত্তর দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিশ্বর চক্রবর্তী। নিজের সাইট https://www.agnichakra.org/voicerecognition/index.php-তে যাবতীয় উত্তর পেয়ে যাবেন একেবারে বিনামূল্যে।
কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক হয়ে যাদবপুরে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন অগ্নিশ্বর চক্রবর্তী। এরপর সেখানেই দুই বছরের রিসার্চের কাজে যুক্ত থেকেছেন। এই মুহূর্তে গৃহশিক্ষকতার কাজে যুক্ত রয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে চলছে তাঁর উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ইউনিকোড ফ্রন্ট ডেভেলপ করার সঙ্গে পুরনো বাংলা লেখনির টেক্সট কনভার্টারও উদ্ভাবন করেছেন তিনি। বাংলা কথোপকথনকে কীভাবে সরাসরি লেখনিতে পরিবর্তন করা যায় সেই কাজও শেষ।
এ ব্যাপারে ইংরেজি কথোপকথন থেকে টেক্সট কনভার্সনের পদ্ধতিই অনুসরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন অগ্নিশ্বর।
তাঁর এই কাজের তিন মাস আগে গুগল জিবোর্ড একইরকমের অ্যাপ্লিকেশনের উদ্ভাবন করেছে। কিন্তু তাঁর এই উদ্ভাবন সাধারণের ব্যবহারের জন্য।
যদিও কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই অগ্নিশ্বরের। এমন কি তাঁর এই উদ্ভাবনের জন্য কোনো পেটেন্ট নেওয়ারও ইচ্ছে নেই তাঁর। কয়েক মাস পরে সব সোর্স কোডও তিনি প্রকাশ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ডেস্কটপে অগ্নিশ্বর চক্রবর্তীর অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যাচ্ছে। ফোনে এই অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহারের জন্য এসএসআই সার্টিফিকেট তাঁকে কিনতে হবে। এই মুহূর্তে সেটা তার পক্ষে সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি। নিজের সীমিত বাজেটের মধ্যে সবার ব্যবহারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অগ্নিশ্বর।