এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ মানেই যেন বৃষ্টির তাণ্ডব। এর আগেও নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের আগের দুই ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচও থামিয়ে দিয়েছিল বৃষ্টি। আধা ঘণ্টার মতো বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে খেলা। ২৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ইংল্যান্ড ২৫.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে করেছে ১৬৮ রান।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে ব্যাটিংয়ের শুরুটা একদমই ভালো হয় নি ইংলিশদের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই জেসন রয়কে (৪) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিচেল স্টার্ক। জশ হ্যাজেলউডের করা পরের ওভারে অ্যালেক্স হেলসও আউট। স্লিপে অ্যারন ফিঞ্চের তালুবন্দি হওয়ার আগে রানের খাতা খুলতে পারেন নি তিনি।
৬ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন জো রুট ও এউইন মরগান। দারুণ ছন্দে থাকা রুট অবশ্য এবার ব্যর্থ। ১৫ রান করে হ্যাজেলউডের বলে উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দিয়ে স্বাগতিকদের বিপদ বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে মরগান ও স্টোকস দুজনে হাফ-সেঞ্চুরী তুলে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। পুরো বাংলাদেশ আজ তাদের সমর্থনে মাঠে এবং টিভি পর্দায় চোখ রাখছে।
এর আগে ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা নিয়েছেন আদিল রশিদ। তার দুই ওভারের ভেল্কিতে ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার। একই ওভারে তিনি ফিরিয়েছেন ম্যাথু ওয়েড (২) ও মিচেল স্টার্ককে (০)। তার আগে ও পরে ময়েসেস হেনরিকস (১৭) ও প্যাট কামিন্সকে (৪) ফিরিয়ে ইংলিশ স্পিনার নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন ৪ উইকেট। ফলে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৭৭ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয় অজিরা।
এ ম্যাচকে অ্যাশেজের ওয়ানডে সংস্করণ হিসেবে দেখছেন মরগান। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারের স্বাদ দিতে চান।