আফগানিস্তান স্পিন কিং রশিদ খান বলেছেন, আগামী মে মাসে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে তার দল কাউকে ভয় পায় না। উঠতি ক্রিকেট জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আফগানিস্তান প্রথম টেস্ট জয়ের পর এ কথা বলেন খান। সংক্ষিপ্ত ভার্সনে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বোলার খান বলেন, কেবলমাত্র দ্বিতীয় টেস্টেই আয়ারল্যান্ডকে হারানোর পর আফগানিস্তানের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে।
এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের মেধা আছে, আমাদের দক্ষতা আছে। গত বছরের এশিয়া কাপে ৫০ ওভার ফর্মেটে শক্তিশালী টেস্ট খেলুড়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকাকে পিছনে ফেলে গ্রুপের শীর্ষ স্থান দখল করেছিল আফগানিস্তান।
তিনি বলেন, একমাত্র বিষয় হচ্ছে তোমার দক্ষতায় বিশ্বাস রাখা। বড় ম্যাচে শুধুমাত্র নিরুদ্বেগ থাকো এবং তোমার খেলাটা উপভোগ করো এবং বিশ্বকাপে আমাদের এমন থাকাটাই উচিত হবে।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান ২০০৯ সালে ওয়ানডে এবং ২০১৭ সালে টেস্ট মর্যাদা লাভ করে। তবে দলটির সাম্প্রতিক উত্থান খানকে একজন বিশ্বমানের স্পিনারে পরিণত করেছে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ২০১৫ সালে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় খানের। তবে বোলার হিসেবে এ উত্থানের জন্য তিনি সমস্ত কৃতিত্ব দিচ্ছেন আইপিএলকে। তবে কেবলমাত্র আইপিএল নয়, রশিদ এখন অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ও পাকিস্তানের সুপার লিগসহ বিশ্ব জুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলছেন।
তিনি বলেন, ভিন্ন ভিন্ন কোচ এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করা সত্যিই আপনার দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হয়। তাদের ভাবনা ও অভিজ্ঞতা এবং প্রকৃত অর্থেই আপনার খেলার উন্নতিতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, আমি নিজের ওপড় কোনো চাপ নেই না, আমি নিজের খেলাটা উপভোগ করার চেষ্টা করি। উইকেট পাই না পাই নিজের বোলিংটা উপভোগ করি। আমার নজর থাকে কাজটি সঠিকভাবে করা এবং ভালো বোলিং করা। আমি ফলের প্রতি নজর দেই না, নজর দেই নিজের কঠোর পরিশ্রমের প্রতি। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদির একজন বড় ভক্ত খান জানান, দশ বছর যাবত যুদ্ধ চলা একটা দেশে ক্রিকেট শেখাটা ছিল অত্যন্ত কঠিন।
র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা ভারতের বিপক্ষে ২০১৮ সালে আফগানিস্তান তাদের অভিষেক টেস্ট খেলে। মাত্র দুই দিনের মধ্যেই ম্যাচটি হেরে যায় নবাগতরা। তবে এক বছর পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অনেক উন্নত করা দল হিসেবে ফিরে আসে।