বিশ্ব উষ্ণায়ন যে হিমালয় ও দুই মেরুর ওপর বড় মাত্রায় প্রভাব ফেলতে চলেছে একথা আজ আর নতুন করে অজানা কোনও তথ্য না। কিন্তু সম্প্রতি স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য বলছে ‘শেষ এসে গেছে’। সাম্প্রতিক সময়ে স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে গলছে একটি চিনা হিমবাহ। হিমবাহটি লাওগুউ নং ১২ নামে পরিচিত। গত দুইবছরে গলে যাচ্ছে এই ২০ বর্গকিলোমিটারের হিমবাহ।
একদিকে যখন এই চিনা হিমবাহ দ্রুত গতিতে পানি হয়ে যাচ্ছে, তখন বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। তারা জানাচ্ছেন এরফলে একাধিক পরিবর্তন হতে পারে, আবার দীর্ঘমেয়াদি পানি সংকটও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
তিব্বত মালভূমিতে ৮০০ কিলোমিটার পর্বত শৃঙ্খলের বৃহত্তম হিমবাহ হিসাবে পরিচিত লাওগুউ নং ১২। গবেষকরা বলছেন এটি বিশ্বউষ্ণায়নের জেরে দ্রুত গতিতে গলছে। এমনকি এটি ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। এই ঘটনার জেরে মারাত্মক চিন্তিত গবেষকরা।
তিব্বতের মালভূমি প্রচুর পরিমাণে বরফে ঢাকা অবস্থায় পড়ে থাকার জন্য বিশ্বের তৃতীয় মেরু হিসাবে পরিচিত। কিন্তু আশঙ্কার বার্তা হল ১৯৫০ এর দশক থেকে এই অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। যা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
চায়না অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের থেকে পাওয়া তথ্য বলছে ১৯৫৬ থেকে ১৯৯০ অবধি সময়কালের তুলনায় ১৯৯০ থেকে ২০১০ অবধি হিমবাহের গলন ৫০%-এর বেশি দ্রুত হয়।