শিক্ষা ও গবেষণায় সাফল্যের কারণে বিশ্বসেরার তালিকায় স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। সম্প্রতি স্পেনের সিমাগো রিসার্চ গ্রুপ পরিচালিত জরিপে বিশ্বের সকল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৪০তম হিসেবে স্থান পেয়েছে বিএসএমএমইউ।
শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রেক্ষিত : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণাসহ সার্বিক কার্যক্রমে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। চিকিৎসক, শিক্ষক, গবেষক ও নার্সসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও সাফল্য এসেছে।
তিনি আরও বলেন, অবকাঠামো নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জরুরি বিভাগ চালু ও রোগীদের সুচিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান হলে বর্তমানের চেয়ে তিনগুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে।
ডিআরইউ সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রতনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো.হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বিএম আবদুল হান্নান, মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক ডা. মো. জামালউদ্দিন খলিফা ও হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন।
মতবিনিময়কালে ভিসি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরে বস হিসেবে নয়, সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। দেশের একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে গতিশীল করতে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা- এ তিনটি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে সম্মিলিতভাবে টিমওয়ার্ক হিসেবে কাজ করতে হয়। গত দুই বছরে সবার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে সকল কার্যক্রমকে নিয়মিত করতে সমর্থ হয়েছি। সবার সহযোগিতায় বিএসএমএমইউ ভিআইপি থেকে শুরু করে হতদরিদ্রদের আশা ভরসা কেন্দ্রস্থল হিসেবে আস্থা অর্জন করছে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ১১লাখ ৬০হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। ওই বছর বৈকালিক স্পেশালাইজড আউটডোরে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫১৭ রোগী সেবা নিয়েছেন। হাসপাতালের ইনডোরে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক নার্স থাকছেন। সিনিয়র শিক্ষকরা সন্ধ্যায় ক্লাস ও ওয়ার্ডে রাউন্ড দিচ্ছেন। গত দুই বছরে প্রায় সাড়ে ৭০০ গবেষণা কাজ হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯১টি পোস্ট গ্রাজুয়েট বিষয়-৩৪টি এমডি, এমএস ২২টি, এমপিএইচ ৮টি, এমফিল ১১টি ও ডিপ্লোমা ১৪টি চালু রয়েছে। নতুন নতুন বিশেষায়িত বিভাগ খোলা হয়েছে।