খোদ ওয়ারেন বাফের শেয়ার রয়েছে অ্যাপল সংস্থায়। অথচ তাঁর কাছে ন্যূনতম স্মার্টফোনও নেই। নোকিয়ার ফ্লিপ হ্যান্ডসেটটি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “আমি আরও ২০-২৫ বছর পর্যন্ত হ্যান্ডসেটটি ব্যবহার করতে চাই। ” ২০১৩-য় সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল আমাকে এই ফোনটি দিয়েছিলেন। ”
কেন একটি পুরনো মডেলের হ্যান্ডসেট তিনি অন্তত আরও ২০ বছর ব্যবহার করতে চান? অনেকে বলছেন, ওয়ারেন বাফের এই মনোভাব এসেছে তাঁর তুখোড় ব্যবসায়িক মানসিকতা থেকে। বাফের মতে, অন্তত ১০ বছরের জন্য কোনো শেয়ার কিনে রেখে না দিতে পারলে, শেয়ারের ব্যবসায় নামা উচিত নয়।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ওয়ারেন বাফে নাকি আজ পর্যন্ত মাত্র একটিই ই-মেল পাঠিয়েছেন। তবে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে অনীহা বা ভয়ের জন্য নয়, বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী এই মানুষটি আজও বাঁচেন একমাত্র তাঁর নিজের শর্তে। ১৯৫৮-তে ৩১,৫০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ওমাহায় কেনা বাড়িতেই আজও বাস করেন। শেয়ার বাজারের ব্যবসায় যেদিন নেমেছিলেন, আজও সেই একইভাবে জীবনযাপন করেন। তাঁর দৈনন্দিন জীবনে বাহুল্যের লেশমাত্র নেই।
এমনকী, ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওয়ারেন বাফে তাঁর আট বছরের পুরনো ক্যাডিলাক গাড়িটি চালাতেন। তাঁর বক্তব্য, “আমি বছরের ৩৫০০ মাইলের বেশি গাড়ি চালাই না। আমি নতুন গাড়ি কিনে কী করব?” শেষ পর্যন্ত সেবছরই জেনারেল মোটরস সংস্থার কর্ণধার তাঁকে দিয়ে প্রায় জোর করেই নতুন গাড়ি কেনান। বিনিয়োগকারী হিসাবে ওয়ারেন বাফের বিশ্বাসযোগ্যতা এতই বেশি যে তাঁর প্রতিটি কথা মন দিয়ে শোনেন অনুগামীরা। নয়া প্রজন্মের প্রতি বাফের উপদেশ, ‘ক্রেডিট কার্ড থেকে দূরে থাকো, নিজের উপর বাজি ধরো। ’