১. স্পেনের নর্থ এয়ারপোর্ট ট্রাজেডি:
১৯৭৭ সালের ২৭ মার্চ স্পেনের টেনেরিফে নর্থ এয়ারপোর্টে কেএলএম রয়েল ডাচ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং-৭৪৭ বিমান উড্ডয়ন শুরু করার ঠিক পরপরই ‘প্যান আমেরিকান ওয়ার্ল্ড এয়ারওয়েজ’-এর অপর একটি বোয়িং-৭৪৭ বিমানের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে দুই বিমানের মোট ৫৭৪ জনই নিহত হন।
২. ইঞ্জিন খুলে পড়ে মার্কিন বিমানের:
১৯৭৯ সালের ২৫ মে আমেরিকার মাটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। শিকাগোর ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি ডিসি-১০ বিমান উড্ডয়ন শুরু করলে রক্ষণাবেক্ষণের ত্রুটির কারণে বাম পাশের ইঞ্জিনটি খুলে পড়ে। এতে নিহত হন ২৭৩ জন।
৩. ম্যাকডনেল ডগলাস ডিসি-১০:
১৯৭৪ সালের ৩ মার্চ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ‘ম্যাকডনেল ডগলাস ডিসি-১০’ বিমানটি। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই এরমেওনভিলে একটি পার্কে আছড়ে পড়লে ৩৩৫ জন যাত্রী ও ১১ জন ক্রুর সবাই নিহত হন।
৪. অ্যান্টার্কটিকায় বিধ্বস্ত ডিসি-১০:
১৯৭৯ সালের ২৮ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের ডিসি-১০ বিমান অ্যান্টার্কটিকায় বিধ্বস্ত হলে ২৫৭ জন যাত্রী এবং ক্রুর সবাই নিহত হন।
৫. বেঁচে যান চার যাত্রী:
১৯৮৫ সালের ১২ আগস্ট একক বাণিজ্যিক বিমানে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে জাপানে । জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটি টোকিও থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই দেশটির পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হলে ৫২০ জন নিহত হন। বিস্ময়করভাবে প্রাণে বেঁচে যান চার যাত্রী।
৬. আগুন ধরে যায় নাইজেরিয়ান এয়ারওয়েজে:
১৯৯১ সালের ১১ জুলাই সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই আগুন ধরে যায় নাইজেরিয়ান এয়ারওয়েজের ‘ডিসি-৮’ বিমানটিতে। ২৬১ জন যাত্রী ও ক্রুর সবাই নিহত হন।
৭. জ্বালানি ট্যাংকে বিস্ফোরণ:
১৭ জুলাই, ১৯৯৬ নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্ট থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই ট্রান্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের জ্বালানি ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটে। বিমানটি আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়। এতে ২১২ জন যাত্রী এবং ১৮ জন ক্রুর সবাই নিহত হন।
৮. আকাশেই বিকল হয়ে যায় বোয়িং:
১৯৯১সালের ২৬ মে ‘লডা এয়ার’র একটি বোয়িং-০১৭৬৭ বিমান উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মাথায় আকাশেই বিকল হয়ে যায়। ব্যাংককের উত্তর-পশ্চিমে এটি বিধ্বস্ত হলে ২২৩ জন যাত্রী এবং ক্রুর সবাই নিহত হন।
৯. দুই বিমানের সংঘর্ষ:
ভারতের নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর সৌদি এবং কাজাখস্তান এয়ারলাইন্সের দুটি বিমানের সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হন দুই বিমানের ৩৪৯ জন।
১০. লকারবি শহরে ভেঙে পড়ে বোয়িং:
২১ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ সন্ধ্যার কিছু পর দক্ষিণ স্কটল্যান্ডের লকারবি শহরে ভেঙে পড়েছিল প্যান-এম ফ্লাইট ১০৩-এর বোয়িং ৭৪৭-১২১ বিমানটি। লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে নিউইয়র্কের কেনেডি বিমানবন্দরগামী বিমানটির ২৫৪ জন যাত্রী এবং ১১ ক্রু নিহত হন।
এছাড়াও ২৫ মে, ২০০২ তাইওয়ান থেকে হংকংগামী এক বিমান ফ্লাইট ৬১১ মাঝ আকাশে বিকল হয়ে পড়লে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২২৫ জনের সবাই নিহত হন। এবং ১০ এপ্রিল, ২০১০ পোল্যান্ডের বিমান বাহিনীর একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্টসহ ৯৬ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন। সরকারি তদন্তে দুর্ঘটনার জন্য পাইলটকে দায়ী করা হয়।