করোনা মহামারিতে প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা, সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় এক কোটি ৪ লাখ ১২ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ২২৮ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি লাখ ৪ লাখ ১২ হাজার ৪২১ জনে। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৮ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, এক লাখ ২৮ হাজার ৭৮৩ জন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বিশ্বে সর্বোচ্চ, ২৬ লাখ ৮১ হাজার ৮১১ জন।
আর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। দেশটিতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৮৮ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫৮ হাজার ৩৮৫ জন।
মৃতের সংখ্যায় ব্রাজিলের পরেই আছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৩ হাজার৫৭৫ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৬৫ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত ৬ লাখ ৪১ হাজার ১৫৬ জন। যদিও রাশিয়ায় মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, ৯ হাজার ১৬৬ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৬ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছেন ১৬ হাজার ৯০৪ জন।
আর মৃত্যুর দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে ইতালি। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৬ জন। মৃত্যুতে পঞ্চম অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে মারা গেছে ২৯ হাজার ৮১৩ জন ও আক্রান্ত ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৬০ জন।
ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৩৪৬ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫০ জন। এছাড়া পেরুতে আক্রান্ত ২ লাখ ৮২ হাজার ৩৬৫ জন, মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৫০৪ জন। জার্মানিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯২ জন, মারা গেছেন ৯ হাজার ৪১ জন। ইরাতে আক্রান্ত ২ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন, মারা গেছেন ১০ হাজার ৬৭০ জন।
মেক্সিকোতে আক্রান্ত ২ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ জন, মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ১২১ জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত ২ লাখ ৬ হাজার ৫১২ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ১৬৭ জন। কানাডায় আক্রান্ত ১ লাখ ৩ হাজার ৯১৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬৬ জন।