কোনও চকমকে ব্যাপার নেই৷ কেউ তেমন জানতেও পারল না৷ তবুও বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইংরেজি নববর্ষ ২০১৮ কে স্বাগত জানালেন দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাটির জনগণ৷ নারকেল ফুলের মালা, প্রবাল শুভেচ্ছা আর সামুদ্রিক উত্তাল হাওয়ায় ভর করে আরও একটি নতুন বছরে পৌঁছে গেল দুনিয়া৷
প্রথা হিসেবে নারকেল ফুল, ঝিনুক ও প্রবালের শুভেচ্ছায় বর্ষ বরণ করেছেন কিরিটিমাটি দ্বীপবাসী৷ ঝিনুকে ঘেরা ছোট্ট একরত্তি দেশ কিরিবাটি৷ তারই ছোট্ট অংশ হল কিরিটিমাটি৷ সেই ক্ষুদে দ্বীপের এমন সৌভাগ্যে হিংসে হয় অকল্যান্ড, সিডনি, টোকিও, ওয়াশিংটন, লন্ডনের মতো বড় বড় মহানগরের।
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলছে, কিরিটিমাটি দ্বীপের সময় থেকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় পিছিয়ে রয়েছে অকল্যান্ড। এই দ্বীপে বর্ষবরণে ঝাঁ চকচকে সেলিব্রেশন নেই৷ নিস্তরঙ্গ দ্বীপে শুধুই প্রশান্ত মহাসাগরের উদ্দাম হাওয়া বয়ে চলে৷
৩৮৮ বর্গ কিলোমিটারের কিছু বেশি এলাকার ক্ষুদে এক দেশ কিরিবাটি। অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, কৌণিক অবস্থান, চাঁদ-সূর্যের ওঠা নামা সব মিলিয়ে বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে সবার আগে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ বলার অধিকারী৷
ভৌগলিক কারণেই এই কিরিবাটি নামে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রের কিরিটিমাটি দ্বীপে সবার আগে ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাত পার করেছে৷ সেই দেশেই প্রথম ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে গেল। প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রের রাজধানী কিরিটিমাটিতে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েছে ইংরাজি নববর্ষের প্রথম মুহূর্ত৷
নববর্ষ আনুক অনেক শান্তি৷ কল্যাণ হোক সকলের৷ ঝিনুক ঘেরা সুন্দর ছোট্ট কিরিটিমাটি থেকে এমনই মঙ্গল বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে দুনিয়ার সর্বত্র৷