ডিএমপি নিউজ: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী এজাহারনামীয় আসামী মোঃ শাকিল হোসেনকে হাজারীবাগ থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। শাকিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৩৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি।
গ্রেফতারকৃত শাকিলকে ৫ অক্টোবর ২০২৪ হাজারীবাগ থানা এলাকায় তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার (৬ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি.) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ২০২৪ সকাল অনুমান এগারটায় ধানমন্ডির ২৭ নং রোডে মিনা বাজারের সামনে ও আশপাশ এলাকায় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালায়। এতে ভিকটিম সাহেদ আলী (২৭) সহ অনেক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এই সংক্রান্তে ভিকটিমের ভাই শরিফ গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা রুজু করেন। উক্ত রুজুকৃত মামলায় শাকিল হোসেন এজহারনামীয় আসামী।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মোঃ শাকিল হোসেন একজন অস্ত্রধারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী। সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার মিছিলের উপর অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরীহ ছাত্র জনতার উপর গুলি বর্ষণ করে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আরও জানা যায়, তার বাসায় অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত আসামীর মধুবাজারের হাজী আক্তার হোসেন রোডের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ১ টি পিস্তল, ১ রাউন্ড রিভলবারের গুলিসহ ১টি রিভলবার, ১ রাউন্ড ব্যবহৃত রিভলবারের গুলির খোসা, ২টি চাপাতি, ২টি বড় ছোরা ও ১টি রামদা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এছাড়াও গত ১৯ জুলাই ২০২৪ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের আবাহনী মাঠের বিপরীত পাশে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালায়। এতে হাসনাইন আহমেদ নামে একজন নিহত হয়। উক্ত ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলায়ও শাকিল হোসেন একজন এজহারনামীয় আসামী।
গ্রেফতারকৃত মোঃ শাকিল হোসেনের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজুর পাশাপাশি নিয়মিত মামলায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিমান্ড আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালেত প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।