বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের বড় বোন শাহিন ভাটের লেখা বই ‘নেভার বিন আন (হ্যাপিয়ার)’ প্রকাশিত হয়েছে কয়েকদিন আগেই। বইটি প্রকাশ করেছে পেঙ্গুইন। তাতে তিনি বিষণ্ণতার সঙ্গে নিজের লড়াইয়ের কথা লিখেছেন। এরপর আলিয়া ভিডিওর মাধ্যমে একটি খোলা চিঠি বোনকে পাঠান। সেই চিঠি পড়ে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়বেন পাঠক মাত্রই।
‘ডিয়ার শাহিন’ শিরোনামে এ ভিডিও-চিঠিটি এ পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ দেখেছে।
বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা মহেশ ভাটের মেয়ে শাহিন ভাট। অল্প বয়সে তিনি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হন। আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিলেন শাহিন।
চিঠিতে আলিয়া বলেছেন, তিনি বোনের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়ে পাশে থাকতে পারেননি, আর এ জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
আলিয়া নিজের ও বোনের একটি ছোটবেলায় বৃষ্টির মধ্যে নাচের ভিডিও শেয়ার করে সেইসব দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। আলিয়া বোনের প্রশংসা করে ভিডিওতে বলেন, ‘যে বইটা তুমি এতটা সততার সঙ্গে সহজভাবে লিখেছো, সেটা পড়ার পর তোমাকে একটা চিঠি লেখার মতো ক্ষমতা আমার নেই।’
আলিয়া ফের বলেন, ‘আমার নিজের প্রতি করুণা হচ্ছে, ২৫ বছর একসঙ্গে থাকার পরও আমি তোমার নিঃসঙ্গ বিষণ্ণতার মুহূর্তগুলো বুঝতে পারিনি।’
গতকাল শুক্রবার রাতে আলিয়া নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট লিখে জানান, ‘প্রিয় শাহিন, কোনোমতে তোমার বইটা শেষ করার পরে আমি বুঝতে পারছিলাম না কী বলব, কারো সঙ্গে কথা বলতেও ইচ্ছা করছিল না।’
শাহিন ভাট তাঁর লেখা বইটি প্রকাশ করেন ১০ অক্টোবর, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে। তিনি লেখেন, ‘অবশেষে সে এলো। আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে আমি গর্বিত, নিজের প্রথম বই প্রকাশ করছি।’
এর আগে একবার মহেশ ভাট বলেছিলেন, শাহিন এমন অবস্থায় পৌঁছেছিলেন যে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন।
‘১২-১৩ বছর বয়সে সে (শাহিন) আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। এটা আমার নিজের ঘরের সত্য ঘটনা। জিয়া খান একবার কাজের জন্য এসেছিল, কিন্তু ওই সময় আমরা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পারিনি। পরে যখন সে আত্মহত্যা করে, আমরা তার বাসায় গিয়েছিলাম। খুব খারাপ লেগেছিল’, বলেন তিনি।
ওই সময় মহেশ ভাট ভারতে বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সূত্র : এনডিটিভি
ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানেঃ