প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ভবিষ্যতে আইসিটি খাতই দেশের রপ্তানীতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তিনি রোববার যশোরে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’-এর উদ্বোধনকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে আমাদের উৎপাদিত পণ্য ভবিষতে আমাদের রপ্তানীতে সব থেকে বড় অবদান রাখবে। কাজেই আমাদের ছেলে-মেয়েদের সেভাবেই আমরা প্রশিক্ষণ দিতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই আইটি পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উন্নয়নের ছোঁয়াকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক জেলাতে আমরা একটা করে হাইটেক পার্ক করে দেবো।’
সরকার আশা করছে, ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি খাতের আয় ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে এবং জিডিপিতে সফ্টওয়্যার ও আইসিটি সেবাখাতের অবদান ৫ শতাংশে উন্নীত হবে।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন। গণভবনে এসময় ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে সরকারের আসার পর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যেসব পদক্ষেপ নেই সেসবেরই একটা অংশ আজকের আইটি পার্ক। আর কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কও তৈরী হচ্ছে, সেটার কাজও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে এই টেকনোলজি পার্কটা যশোরে করা হয়েছে- আমি মনে করি আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকাকে উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট করেই আমাদের কাজ করা উচিত। সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।
যশোরের মত জায়গায় সমস্ত সুযোগ-সম্বলিত আধুনিক এই পার্কটি মানুষকে আকৃষ্ট করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন- এখানে বহুলোকের যেমন কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি আমাদের দেশকেও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দেশ হিসেবে গড়ে তোলার পথে একটা ধাপ আমরা অতিক্রম করতে পারলাম।
পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোরের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।