ভারতীয় বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথ ওরফে কেকে মারা গেছেন। কলকাতার নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসেছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানের পর হোটেলে ফিরেই আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিল্পীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মনে করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রখ্যাত শিল্পীর।
জানা গিয়েছে, এদিন নজরুল মঞ্চে একটি কলেজের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে গান গাইতেই এসেছিলেন কেকে। অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন শিল্পী। তারপর শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে ফিরে যান। সেখানেই অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গে CMRI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে শিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে শিল্পীর পরিবার কলকাতায় এসে পৌঁছবে বলেই জানা গিয়েছে।
১৯৬৮ সালে দিল্লিতে জন্ম কেকের। বলিউডে নিজের সফর শুরুর আগে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিজ্ঞাপনের ‘জিঙ্গল’ গেয়েছেন তিনি। মুম্বাইয়ে কেরিয়ার শুরুর আগে বেশ কিছুদিন মার্কেটিংয়ের কাজও করেছেন। প্রথমে বিজ্ঞাপন এবং টেলিভিশনেই কাজ শুরু করেন কেকে। তারপর অ্যালবামের কাজে মন দেন।
কেকের প্রথম অ্যালবাম ‘পল’ বেশ জনপ্রিয় হয়। ‘ইয়ারো দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়’ গান এখনও তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠে শোনা যায়। সিনেমার গানে কেকে-র সফর শুরু হয় এ আর রহমানের সংগীত পরিচালনায়। তবে বলিউডে তাঁর বড় ব্রেক ছিল ‘হাম দিল দে চুকে সনম’। তাঁর কণ্ঠে তুমুল জনপ্রিয় ‘তড়প তড়প কে’ গান। তারপর থেকে একের পর এক ‘হামরাজ’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘দশ’, ‘জন্নত’, ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’র মতো সিনেমায় গান গেয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন। শুধু হিন্দি নয়, তামিল, তেলুগু, মারাঠি, কন্নড় এবং বাংলা ভাষাতেও গান গেয়েছেন কেকে। ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’ এবং ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিতে গান গেয়েছেন কেকে। শিল্পীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত সংগীত জগৎ। শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।