গত দুদিনের টানা বৃষ্টি, বিক্ষিপ্ত ঝড় ও এর ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশে মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। এদিকে, শুধু মানুষ নয়, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে। উত্তর প্রদেশজুড়ে নয়টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। ১০৪টি কাঁচা ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। উত্তর প্রদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা গেছে উত্তর প্রদেশের শাহরানপুরে। শাহরানপুর ছাড়াও উত্তর প্রদেশের আগ্রা-মথুরায় মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। এ ছাড়া মৈনিপুরীতে চারজন, কাসগঞ্জে তিনজন, বরেলি, ভাগপট ও বুলন্দ শহরে দুজন করে মারা গেছে। এ ছাড়া কানপুর দেহাত, গাজিয়াবাদ, হাপুর, রায়বেরিলি, জালৌন, জৌনপুর, প্রতাপগড়, বান্দা, ফিরোজাবাদ, আমেথি, কানপুর ও মুজাফরনগরে একজন করে মারা গেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদের কর্মকর্তাদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তর প্রদেশের পাশাপাশি রাজধানী দিল্লিতেও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দিল্লি শহরে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
দিল্লির জেলা প্রশাসক কে মহেশ জানান, গতকাল রাত থেকেই দিল্লির নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। সেচ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর ছাড়া স্থানীয় বোট ক্লাব থেকে ৪৩টি নৌকায় করে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারের কাজ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া পানিবন্দিদের সরবরাহের জন্য শুকনো খাবার ও ত্রিপল মজুদ করা হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এসব বন্যা নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা জারি করেছেন।
এদিকে, উত্তর প্রদেশের মতো মধ্য ভারতেও শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। প্রবল বৃষ্টির কারণে গতকাল সকালে ভারতের হিমাচল প্রদেশের কিন্নৌরের কাছে পাঁচ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। ফলে, থমকে যায় যানচলাচল। হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি উত্তরখণ্ড রাজ্যেও শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি।
আর এই ভারি বৃষ্টির কারণে, আগামীকাল রোববার পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরখণ্ড রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।