কিছুদিন বাদেই ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প। আর তার জন্যও সাফাই চলছে হায়দরাবাদে। উচ্ছেদ করা হচ্ছে ভিখারিদের। তবে ভিখারিদের ব্যাকগ্রাউন্ড যে এরকম হতে পারে সেটা বোধ হয় দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি হায়দরাবাদের পুলিশ।
উচ্ছেদ করতে যেতেই মুখের উপর তড়বড় করে ইংরেজিতে জবাব দেন ওই ভিখারি। বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার নাম ফারজানা। তাঁকে কেন সরানো হচ্ছে তা নিয়েই ইংরেজিতেই ঝগড়া শুরু করে দেন তিনি। চমকে যায় পুলিশ। একটি মসজিদের কাছ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। জেরায় জানা গিয়েছে, ওই ভিখারির একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে হায়দরাবাদে। তাঁর ছেলে আর্কিটেক্টের কাজ করেন আমেরিকায়। ফারজানা নিজেও এমবিএ, একসময় লন্ডনে কর্মরত ছিলেন তিনি।
তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, এক মুসলিম ধর্মগুরুর নির্দেশে দরগার সামনে ভিক্ষা করা শুরু করেন ফারজানা। কারণ তাঁকে বলা হয়েছিল এভাবে ভিক্ষা করলে তাঁর জীবনে সৌভাগ্য ফিরে আসবে। ছেলের আবেদনে পুলিশ ফারজানাকে ছেড়ে দিয়েছে।
আর এক ভিখারিকে দেখে তো পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। রাবিয়া বসীরা নামে ওই ভিখারিকে রিহ্যাবে নিয়ে গিয়ে পুলিশ দেখে তিনি একজন গ্রিন কার্ড হোল্ডার। শহরে তাঁর সম্পত্তিও রয়েছে। তবে কিছু আত্মীয় তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করায় পথে নামতে হয় তাঁকে। স্পষ্ট ইংরেজিতে তিনি তাঁর নিজের গল্প বলেন।
এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন তাঁর গল্প শুনে চোখে জল এসে গিয়েছিল। রাবিয়া জানান, হায়দরাবাদে নিজের বাড়ি ও সম্পত্তি নিয়েই থাকতেন তিনি। কিন্তু আত্মীয়রা প্রতারণ করে সেসব কেড়ে নেয় ও রাবিয়াকে পথে বসিয়ে দেয়। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার খবর পেয়ে আত্মীয়রা জানিয়েছে তারা রাবিয়ার দায়িত্ব নেবে।