ডিএমপি নিউজ: ভিসা প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো পলাশ চন্দ্ৰ দাস, ওয়াহিদ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম সুমন, মাহবুবুর রহমান খান, মোঃ আবু জাফর ও মোঃ আরিফুর রহমান। গ্রেফতারের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪টি জাল সিল ও ৩টি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি.) ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি ভিসা প্রসেসিং প্রতিষ্ঠান মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া ভ্রমণের জাল সিল প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার জন্য মার্কিন দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেয়। বিষয়টি দূতাবাস কর্মকর্তাদের নজরে আসলে গত ১৮ জানুয়ারি গুলশান থানায় আমেরিকার দূতাবাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি মামলা রুজু হয়। মামলা তদন্তকালে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রটি শনাক্ত করে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের ভিসা প্রসেসিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে আগ্রহীদের সাথে ১০-১৫ লাখ টাকায় চুক্তি করে ভিসা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করে। আগ্রহীদের সম্মতিতে পাসপোর্টের গুরুত্ব বাড়াতে বিভিন্ন দেশের জাল ভিসা এবং বিভিন্ন দেশের জাল সিল পাসপোর্টে সংযুক্ত করে। পরবর্তীতে জাল ভিসা সংযুক্ত পাসপোর্ট দিয়ে মার্কিন দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে থাকে। এধরণের জাল সিল ও জাল ভিসা পাসপোর্টে সংযুক্ত করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে ডিবির অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃতদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ডিএমপির ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ পিপিএম-এর নির্দেশে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জুনায়েদ আলম সরকার পিপিএম-এর তত্ত্বাবধায়নে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম পিপিএম-বার এর নেতৃত্বে গ্রেফতার অভিযানটি পরিচালিত হয়।