ডিএমপি নিউজঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে অশ্লীল (নুড) ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে পরবর্তী সময়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে অর্থ আত্মসাৎকারী এক সাইবার প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ডিবি- সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তির নাম- সাদ্দাম হোসেন ওরফে রিজভী। এসময় তার হেফাজত থেকে সাইবার প্রতারণায় ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও ভুয়া নামে ৫টি ফেসবুক আইডি জব্দ করে সাইবার পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অর্গানাইজ্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল হক ডিএমপি নিউজকে জানান, কয়েক মাস যাবৎ এক ব্যক্তির মেসেঞ্জারে আইডিতে নুড ছবি পাঠিয়ে অর্থ দাবি করছিলো। দাবিকৃত অর্থ না দিলে পাঠানো এসব নুড ছবির স্ক্রিনশর্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছেন। এ ঘটনায় ২৫ জুলাই ডিএমপির ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটির ছায়া তদন্ত করে ২৬ জুলাই রাত ১২:৪৫ টায় চট্টগ্রামের খুলশী থানা এলাকা থেকে রিজভী নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সাইবার পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃত রিজভী বিভিন্ন নামে প্রথমে ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলে। এরপর সেইসব আইডি থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিকে আপত্তিকর ও কু-রুচিপূর্ণ ছবি, ভিডিও ও কন্টেন্ট পাঠিয়ে প্রস্তাব দিতো। পরবর্তী সময়ে সেই ব্যক্তির মেসেঞ্জার চ্যাটিং ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করতো। কেউ মানসম্মানের ভয়ে একবার টাকা দিলেও সে ওই ব্যক্তির নিকট আবার টাকা দাবি করতো।
গ্রেফতারকৃত রিজভীর নিকট থেকে জব্দ করা মোবাইল ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাটিং হিস্ট্রি পর্যালোচনা করে সাইবার এ প্রতারক ভুয়া আইডি দিয়ে শত শত লোকের সাথে আপত্তিকর চ্যাটিং করেছে এবং বিভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে, যোগ করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
গ্রেফতারকৃতকে ডিএমপির ধানমন্ডি মডেল থানায় রুজুকৃত মামলায় রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাইবার এসব প্রতারণা এড়াতে অনলাইনে পরিচিত ব্যক্তি ছাড়া বন্ধুতের অনুরোধ গ্রহণ না করা, নিজের ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও কাউকে না পাঠানো ও অপরিচিত ব্যক্তি থেকে আসা প্রস্তাব এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন সাইবার এ পুলিশ কর্মকর্তা।
গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, পিপিএম এর দিকনির্দেশনায়, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান বিপিএম (সেবা) এর তত্ত্বাবধানে এবং অর্গানাইজ্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল হক ও সহকারী পুলিশ কমিশনার জুয়েল রানা এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।