ভেনিজুয়েলায় অবামপন্থী নেতাকে অন্তর্বতী রাষ্ট্রপতি হিসাবে স্বীকৃতি দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ একাধিক দেশ। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাজিলের মতো ল্যাতিন আমেরিকান শক্তিও। আর বিরোধী নেতাকে স্বীকৃতি দিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ও দেশজোড়া অরাজকতা নিয়ে তুমুল জনবিক্ষোভের মধ্যেই তাঁর ঘোষণা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে মাথা ঝোঁকাব না।
বুধবার কারাকাসে নিজেকে ভেনিজুয়েলার অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করেন বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো। ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গুয়াইদোকে ভেনিজুয়েলার নেতা হিসাবে স্বীকৃতি দেয় হোয়াইট হাউজ। এর পরই জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন মাদুরো।
মাদুরো জানিয়েছেন, মার্কিন কূটনীতিকদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভেনিজুয়েলা ছাড়তে হবে। নইলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, মার্কিন চাপের সামনে মাথা নত করবে না ভেনিজুয়েলা।
পালটা বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মাদুরোর কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার অধিকারও মানতে নারাজ মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, ‘মার্কিন কূটনীতিকদের বহিষ্কারের অধিকার নিকোলাস মাদুরোর নেই।’
এদিনও ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে মাদুরোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। পালটা বিক্ষোভ দেখান মাদুরোপন্থীরাও। তবে তাদের সংখ্যা ছিল নিতান্ত হাতে গোনা।