নির্বাচনের আগেই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ফের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এদিকে তিনি টিকাদানে জনগণের আস্থায় ফাঁটল ধরানোর চেষ্টা করায় হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে তার ডেমোক্রেটিক দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের দোষারোপ করেন। খবর এএফপি’র।
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক দলের মনোনীত ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হলেও তিনি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তৈরি এ ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা বিষয়ে ট্রাম্পের কথা মানবেন না। হ্যারিসের এমন মন্তব্যের কয়েকদিন পর ট্রাম্প এসব কথা বলেন।
ট্রাম্প করোনাভাইরাসের লাগাম টেনে ধরার ব্যাপারে অনেক চাপের মুখে রয়েছেন। কেননা, এ ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার তার পুন:নির্বাচনের সম্ভাবনাকে ঘোলাটে করে ফেলেছে। এটা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়ায় তার প্রশাসন রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ ঠিক রাখতে দ্রুত ভ্যাকসিন গবেষণা করতে পারে।
বাইডেন সোমবার প্রতিযোগিতা শুরুর আগে জ্ঞানের পরিধির তুলনা করে বলেন, ভবিষ্যত কোন ভ্যাকসিন বিষয়ে তিনি স্বচ্ছতা ও বৈজ্ঞানিক তথ্য দেখতে চান। বাইডেন বলেন, ‘আমরা প্রকৃতপক্ষে একটি ভাল ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে পেরেছি কিনা, জনগণ এটি গ্রহণে অনাগ্রহী হতে যাচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে আমি উদ্বিগ্ন। সুতরাং তিনি (ট্রাম্প) জনগণের আস্থার ক্ষতিসাধন করছেন।’
ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের ‘ভ্যাকসিন বিরোধী বাগাড়ম্বরপূর্ণ অপরিণামদর্শী’ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা সেসব কথা বলছেন তা আমাদের দেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক।’ তিনি বলেন, বরং ‘ভ্যাকসিনটি খুবই নিরাপদ ও অত্যন্ত কার্যকরী হবে।’
গত সপ্তাহে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিষয়ক কেন্দ্র দেশটির অঙ্গরাজ্যগুলোকে লাল ফিতার বাধা দ্রুত দূর করার আহ্বান জানিয়েছে যাতে ২০২০ সালের ১ নভেম্বর নাগাদ পুরোদমে কাজ শুরু করতে ভ্যাকসিন বিতরণ কেন্দ্রগুলোর নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয়। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই একটি ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এমন কি গুরুত্বপূর্ণ এক বিশেষ তারিখের আগেই আমরা এটি পেতে পারি।’