“উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই, ওরে ভয় নাই। নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই, তার ক্ষয় নাই।” বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর এই পংক্তিকে চির ভাস্বর করে সকল পুলিশের হৃদয়ে সর্বদা বিরাজমান মরহুম কনস্টবল শামীম মিয়া।
২০১৫ সালের তৎকালীন বিরোধী দলের জ্বালাও-পোড়াও সময়ে ১৭ জানুয়ারি, ২০১৫ কনস্টবল শামীম মিয়া রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হতে শাহবাগে আইন-শৃংখলা রক্ষা ডিউটিতে যান। ডিউটি শেষে রাজারবাগে পুলিশ লাইন্সে আসার পথে মৎস ভবন এলাকায় তাদের বহনকৃত পুলিশ বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারে। গুরুত্বর আহত শামীম মিয়াকে তাৎক্ষনিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেই রাতেই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০.২০ টায় শামীম মিয়া মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।
দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর এ মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে ও তাঁর পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করতে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশ’র সর্বোচ্চ পদক “বাংলাদেশ পুলিশ পদক(বিপিএম)-মরণোত্তর” পদকে ভূষিত করেছে।
কনস্টবল শামীম মিয়া ১৯৮৮ সালের ১৩ মার্চ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার কুমেদপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোঃ লাল মিয়া আকদ ও মাতার নাম মোসাঃ সাজেদা বেগম। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ছিলেন। তিনি ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ পুলিশ’র কনস্টবল পদে যোগদান করেন।
দেশ মাতৃকার কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ পুলিশ সদস্য শামীম মিয়ার অকাল মৃত্যুতে ডিএমপি পরিবার মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
তথ্যসূত্রঃ ডিএমপি’র কল্যাণ শাখা, পুলিশ পদক ২০১৮ ও পিআইএমএস
সংগ্রহেঃ এসআই রনজিৎ কুমার ও এএসআই সালাউদ্দিন, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।