সঠিক মাপের পোশাক না থাকার অযুহাতে শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গেল শুধু নারী মহাকাশচারীদের নিয়ে নাসার স্পেসওয়াক প্রকল্প। ঠিক ছিল, ২৯ মার্চ অর্থাৎ আগামীকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে মহাকাশে হাঁটবেন নাসার প্রমীলা বিগ্রেড ক্রিস্টিনা কোচ ও অ্যানি ম্যাকক্লেইন। কাজটা মূলত স্পেশ স্টেশনে ব্যাটারি ইনস্টলেশনের।
চলতি মাসের শুরুর দিকে এই অভিনব যাত্রার কথা ঘোষণা করেছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সেই মতো প্রশিক্ষণও চলছিল পুরোদমে। কিন্তু শেষ অবধি শিকে ছিঁড়ল না ম্যাকক্লেইনের। তাঁর জন্য সঠিক মাপের স্পেসস্যুট পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁর বদলি হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে এক পুরুষ মহাকাশচারীর। নাসার দাবি, এখন পোশাক বদলানোর চেয়ে মহাকাশচারী পাল্টে ফেলাটাই সহজ মনে হয়েছে তাদের। কিন্তু একে নাসারই ‘অব্যবস্থা’ বলে ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আগাম পোশাকের বন্দোবস্ত না করেই এমন অভিযানের কথা তারা ভাবল কী করে—অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে। কেউ বলছে, এতে কার্যত নারীশক্তিকেই খাটো করা হলো।
আসল ঘটনাটা কী? নাসা জানিয়েছে, গোলমালটা স্পেসস্যুটের ‘মিডিয়াম’ ও ‘লার্জ’ মাপ নিয়ে। ম্যাকক্লেইন দীর্ঘদিন নাসার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এই দুই মাপের পোশাক পরেই। কিন্তু গত সপ্তাহে একটি অভিযানে গিয়ে তাঁর মনে হয়, ‘মিডিয়াম’ মাপের স্পেসস্যুটই যথাযথ।
কিন্তু সংস্থার কাছে তাঁর জন্য মজুদ রাখা ছিল ‘লার্জ’ মাপের স্পেসস্যুট। এত দ্রুত সেই পোশাক খাটো করা বা নতুন একটা তৈরি করা অসম্ভব বলে জানিয়েছে নাসা। তাই এবার আর ক্রিস্টিনার সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে ইতিহাস গড়া হলো না ম্যাকক্লেইনের। তবে ৮ এপ্রিল ফের তিনি যাবেন মহাকাশে। অন্য এক পুরুষ যাত্রীর সঙ্গে। ম্যাকক্লেইন ও ক্রিস্টিনা দুজনই নাসার ২০১৩-এর ব্যাচে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। যে ব্যাচে ৫০ শতাংশই ছিলেন নারী। ক্লাসে পাশাপাশি বসেছেন। কিন্তু এ যাত্রায় আর বন্ধু ম্যাকক্লেইনকে পাশে পেলেন না ক্রিস্টিনা।