আফ্রিকার দেশগুলির বাইরেও মাঙ্কিপক্সের মারণ থাবার কথা সদ্য জানা গিয়েছে। আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্স থেকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ব্রাজিল ও স্পেনে। কিন্তু তার পরেই জানা গেল মাঙ্কিপক্স নিয়ে নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কথা।
নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল শুক্রবার ক্রমশ ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্স নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে ওঠা মাঙ্কিপক্সের মারণ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে তাঁর স্টেটে ‘স্টেট ডিজাস্টার ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করছেন।
কেন এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা? আসলে একটি তথ্য তাদের চমকে দিয়েছে– আমেরিকায় মাঙ্কিপক্স থেকে ভুগছে এরকম প্রতি চারজনের একজন নিউ ইয়র্কের। ২৯ জুলাই পর্যন্ত পাওয়া হিসেব পর্যন্ত, নিউ ইয়র্কে মোট ১৩৮৩টি অর্থোপক্স বা মাঙ্কিপক্সের কেসের হিসেব নথিভুক্ত হয়েছে।
ব্রাজিল ও স্পেনে প্রথমবারের মতো মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ব্রাজিলে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত একজন মারা গিয়েছেন। তাঁর বয়স ৪১ বছর। আফ্রিকার দেশগুলির বাইরে মাঙ্কিপক্সে এটিই প্রথম মৃত্যু। ব্রাজিলের পরে স্পেনে মাঙ্কিপক্সে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপে মাঙ্কিপক্সে এটি প্রথম মৃত্যু। গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি সতর্কতা ঘোষণা করেছে। যদিও মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের সংখ্যা এখনও অনেকটাই কম। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও কম বলে জানা গিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে এখনও পর্যন্ত ২১১৪৮ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এই সংক্রমণের পেছনে রয়েছে মাঙ্কিপক্স নামের একটি ভাইরাস। এটি স্মলপক্স ভাইরাসের শ্রেণিতে পড়ে। করোনা অতিমারীর প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এর আগে সাধারণত আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই ভাইরাস শনাক্ত হতো।