রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘মাতৃ ও শিশুমৃত্যু’ হার কাঙ্খিত পর্যায়ে নামিয়ে আনতে দেশে আরো অধিক সংখ্যক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ মিডওয়াইফ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
তিনি বলেন,জনগণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষ মিডওয়াইফদের মাধ্যমে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার বহুলাংশে হ্রাস করা সম্ভব।
আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রদত্ত এক বাণীতে রষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন,‘আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই’।
নিরাপদ মাতৃত্ব ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিডওয়াইফদের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পাশাপাশি দেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে সরকার মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মাতৃমৃত্যু হ্রাস ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশকে পুরস্কৃত করেছে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ, শিক্ষিত মা ও পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আর এ পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ধাত্রী, মা ও পরিবার: জীবনের অংশ’ সময়োপযোগী বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবসের সফলতা কামনা করেন।