দু’মাস আগে মাকে হারিয়ে ফেলেছিল বাক প্রতিবন্ধি সোহেল। মা হোসনে আরা কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি কারখানায় কাজ করতেন।
ছেলে সোহেল বাক প্রতিবন্ধি বলে নিজের সাথেই নিয়ে যেতেন কারখানায়। সব সময় রাখতেন নিজের চোখে চোখে। তিনি কখনো ভাবতেই পারেননি মানিক রতন তার কোল ছাড়া হবে।
কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই রমজান আলী বলছিলেন, ২৬ এপ্রিল, ২০১৭ প্রতিদিনের ন্যয় মায়ের সাথে কারখানায় এসেছিল বাক প্রতিবন্ধি সোহেল। পাশের একটি দোকানে গিয়েছিল বিস্কুট কিনতে। কিন্তু পরে আর তার মায়ের কাছে সে ফিরে যেতে পারেনি। গলি হারিয়ে ফেলেছিল সে।
মা হোসনে আরা ছেলে ফিরে আসছে না দেখে আশ পাশসহ চতুর্দিকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে দারস্থ হন পুলিশের। কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহিন ফকির বিপিএম বলছিলেন, ছেলেটি বাক প্রতিবন্ধি হওয়ায় আমরা এলাকায় মাইকিং করি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করি। ঢাকা শহরে যত এনজিও বা সমাজসেবা কেন্দ্র আছে সবখানে খবর নিই এবং প্রায়ই তাদের সাথে যোগাযোগ রাখি। দু’মাস পরে আমরা সোহেলের সংবাদ পাই।
২ জুলাই, ২০১৭ রাত প্রায় সাড়ে নয়টায় সোহেলকে উদ্ধার করা হয় মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং স্টেটের এক দোকানদারের বাড়ি থেকে। ফিরিয়ে দেয়া হয় তার মায়ের কোলে।