ডিএমপি নিউজঃ মার্কেট/শপিং মল/বিপণী বিতানসমূহে ক্রেতাসাধারণ যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে মধ্যরাত অবধি অবাধে কেনাকাটা করতে পারে এবং সম্মুখস্থ রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মার্কেট/শপিং মল/বিপণী বিতানসমূহে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপি’র নিজস্ব কমিউনিটি ট্রাফিক নিয়োজিত করা হয়েছে, যারা মার্কেট/শপিং মল/বিপণী বিতান-এ আগত যানবাহনসমূহের গমনাগমন নিয়ন্ত্রণকরতঃ রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করছে।
মার্কেট/শপিং মল/বিপণী বিতান এর নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নিজস্ব সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করা হয়েছে। বড় বড় মার্কেট/শপিং মল/বিপণী বিতান এর প্রবেশ গেটে আর্চওয়ে স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মার্কেট/শপিং মল/বিপণী বিতান-এ মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে শারীরিক তল্লাশীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তায় সমন্বিত উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে :
মার্কেট/শপিং-মল সমিতির সাথে সমন্বয় সভা :
শপিং মল সমূহে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মার্কেট/শপিংমল সমিতির প্রতিনিধির সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধ এবং ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে সমন্বয় সভা আয়োজন করা হয়েছে।
সাদা পোষাকে ব্যবস্থা :
শপিং মলসমূহের অপরাধ প্রতিরোধে গোয়েন্দা বিভাগ কর্তৃক সাদা পোষাকে পুলিশ মোতায়েনকৃত আছে।
পরিদর্শন :
উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক বিভিন্ন মার্কেট/শপিংমলে পরিদর্শনসূচী প্রণয়ন করা হয়েছে।
সিসি ক্যামেরা স্থাপন :
ঢাকা মহানগরীর শপিং মলসমূহে নিরাপত্তা জোরদার করতে উন্নত রেজুলেশন সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা (রাত্রিকালীন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন) স্থাপন করা হয়েছে। শপিং মলের ভিতর ও চারপাশের রাস্তা সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত হয়েছে।
নারী পুলিশ মোতায়েন :
ঢাকা মহানগরী এলাকার মার্কেটসমূহে মহিলা দ্বারা পিক পকেটিং রোধকল্পে গাউছিয়া, চাঁদনীচক ও এলাকায় নারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতি ইতোমধ্যে নিউমার্কেটে মহিলা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করেছেন।
স্বর্ণের দোকান/ মার্কেটের নিরাপত্তা :
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে স্বর্ণের দোকান/মার্কেটের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও অফিসার ইনচার্জগণ স্বর্ণের দোকান/মার্কেট পরিদর্শনপূর্বক প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা গ্রহণ করেছেন। প্রতিটি স্বর্ণের দোকানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করাসহ এ্যালার্ম সিস্টেম চালুর লক্ষ্যে আহ্বান জানানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপন ব্যতীত কোন স্বর্ণের দোকান থাকলে তা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ঈদের ২/১ দিন আগে হতে ঈদ পরবর্তী ছুটির দিন সমূহে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাল নোট সনাক্ত করণ মেশিন :
প্রতিটি শপিংমল ও মার্কেট সমূহে দৃশ্যমান স্থানে জাল নোট মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এফবিসিসিআই জাল নোট সনাক্ত করণ মেশিন সরবরাহ করেছেন। এছাড়াও মার্কেট কর্তৃপক্ষকেও নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় জাল নোট সনাক্ত করণ মেশিন স্থাপন করার জন্য বলা হয়েছে। থানার মোবাইল প্যাট্রোল গাড়িতে ডিএমপি হতে জাল নোট সনাক্ত করণ মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে।