মরা হাতির দাম লাখ টাকা জানা ছিল। কিন্তু মরা ইঁদুরও যে এইভাবে কাজে আসতে পারে, তা বোধহয় আগে ভাবা যায়নি সেই ভাবে। মরা ইঁদুর ব্যবহার করে অভিনব পদ্ধতিতে মাদক এবং অন্যান্য জিনিসপত্র পাচার হয়ে যাচ্ছিল ব্রিটেনের একটি কারাগারে। অভিনব পদ্ধতিতে এ ভাবে মাদক পাচারের খবরে চোখ কপালে উঠেছে সকলেরই।
সংবাদ সংস্থার খবরে জানা যাচ্ছে যে মরা ইঁদুরের পেটে করে জেলের ভিতরে পাচার করা হচ্ছিল গাঁজা, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, মোবাইল চার্জার এবং নেশা করবার ট্যাবলেটও! মরা ইঁদুরের দেহে অন্যান্য মাদকের সঙ্গে এই সব জিনিসপত্র ঢুকিয়ে সেলাই করে পাঠানো হতো কারাগারে। ব্রিটেনের ডোরসেট অঞ্চলের একটি কারাগারের এই ঘটনা ঘটায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বেশ কিছু দিন ধরে কারাগারের ভিতর কিছু সন্দেহজনক ঘটনা নজরে আসছিল কর্তৃপক্ষের। তার পরেই মাটি খুঁড়ে তিনটি ইঁদুরের দেহের ভিতর থেকে এই সব জিনিসপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় হতভম্ব কারাগার কর্তৃপক্ষ। বিষয়টির তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে ডোরসেট পুলিশের হাতে। কিন্তু অভিনব এই পদ্ধতিতে পাচারের সঙ্গে কারা যুক্ত, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
কারাগার সংলগ্ন পাঁচিলের বাইরে থেকে জেলের ভিতরে ছুঁড়ে ফেলা হতো মরা ইঁদুরগুলি। ইঁদুরগুলির দেহ চিরে বের হয়েছে বিশাল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও গাঁজা। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে পাঁচটি মোবাইল ফোন, চার্জার এবং তিনটি সিম কার্ড। কারাগার কর্তৃপক্ষের মতে কারাবন্দিদের মধ্যে বিক্রির জন্য পাঠানো হতো এই সব জিনিসগুলি।
পাচারকারীরা ড্রোন, টেনিস বল বা পায়রা ব্যবহার করেও জেলের ভিতর মাদক সরবরাহ করে বলে বেশ কিছু খবর পাওয়া গিয়েছিল। ডোরসেটের কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ভাবে মাদক পাচার ঠেকাতে কারাগারের জানালাগুলি সরিয়ে ফেলার ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা করছেন তাঁরা। এ ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশকর্মীও।