অগাস্টে ২৪ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছিল ফিফা। শুক্রবার সেটা তিন জনে নামিয়ে আনে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ২০১৫ সালের বর্ষসেরার লড়াইয়েও তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন মেসি-রোনালদো-নেইমার। সেবার পঞ্চমবারের মতো পুরস্কারটি জেতেন মেসি।
গত নয় বছরে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার মেসি ও রোনালদো ছাড়া জিততে পারেনি আর কেউ। বার্সেলোনা তারকা পাঁচবার ও রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড চারবার জিতেছেন।
এবার ‘বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ জিতলে সবচেয়ে বেশিবার বর্ষসেরা হওয়া মেসির রেকর্ড স্পর্শ করবেন রোনালদো। বছর জুড়ে অসাধারণ সাফল্যের কারণে তার সম্ভাবনা বেশ জোরালো।
গত ২০ নভেম্বর থেকে এ বছরের ২ জুলাই পর্যন্ত খেলোয়াড়দের অর্জন বিবেচনায় পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছে।
ক্লাবের হয়ে গত মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রোনালদোর। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নকআউট পর্বে ৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করার পাশাপাশি নকআউট পর্বে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়েন রোনালদো।
ইউরোপ সেরা এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এ মৌসুমে ১০০ গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেন পর্তুগালের এই খেলোয়াড়। ফাইনালে দুটিসহ এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ ১২টি গোল করেন তিনি।
রোনালদোর চেয়ে দলগত সাফল্য কম হলেও ব্যক্তিগতভাবে গত মৌসুম দারুণ কাটে মেসির। ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে ৫০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। কাতালান ক্লাবটির সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন আর্জেন্টিনার এই অধিনায়ক।
পরিসংখ্যানের বিচারে মেসি-রোনালদোর মতো নেইমারের প্রাপ্তি অত বেশি না হলেও বার্সেলোনার হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোয় তার পারফরম্যান্স ছিল চমৎকার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির কাছে ৪-০ গোলে হারের পর ফিরতি পর্বে কাতালান ক্লাবটির ৬-১ গোলের রোমাঞ্চকর জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। ওই ম্যাচের শেষ দিকে দুই গোল করার পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে সের্হিও রবের্তোকে দিয়ে গোল করান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে পিএসজিতে যোগ দিয়েও দারুণ খেলছেন তিনি।
জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক ও প্রতিটি দেশের একজন করে সাংবাদিক এবং ফিফা ডটকমে নিবন্ধিত ফুটবলপ্রেমীদের ভোটে বিজয়ী নির্বাচন করা হবে।
২০১০ সাল থেকে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার ও ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়ে ২০১৫ পর্যন্ত ফিফা ব্যালন ডি’অর নামে পুরস্কারটি দেওয়া হয়। তবে গত বছর থেকে ফিফা ও ব্যালন ডি’অর আলাদাভাবে পুরস্কার দেওয়া শুরু করে।
২৩ অক্টোবর লন্ডনে ঘোষণা করা হবে বিজয়ীর নাম।
আগের ১০ বারের বিজয়ীরা:
ফিফা বর্ষসেরা:
২০০৭ কাকা
২০০৮ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
২০০৯ লিওনেল মেসি
একীভূত ফিফা ব্যালন ডি’অর:
২০১০ লিওনেল মেসি
২০১১ লিওনেল মেসি
২০১২ লিওনেল মেসি
২০১৩ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
২০১৪ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
২০১৫ লিওনেল মেসি
বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার:
২০১৬ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো