ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমান যাতে পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে না পারে সেই কারণে আবারও পাকিস্তান সরকার তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিল। কিছুদিনের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির সৌদি আরব সফর রয়েছে। আর যে কারণে প্রয়োজন পরবে পাকিস্তানের আকাশপথের। আর তাই পাকিস্তান সরকার তাদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দিল না ভারতকে।
এই বিষয় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশী জানিয়েছেন, পাকিস্তান সরকার মোদিকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দেবে না। আর এই নিয়ে পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
এর আগেও সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময়ে নরেন্দ্র মোদির বিমানকে নিজেদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান। এছাড়াও সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোমিন্দের আইসল্যান্ড যাওয়ার সময়ে তাকেও পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার ইসলামাবাদের এই সিদ্ধান্তের কঠোর বিরোধিতা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের ফল ভবিষ্যতে পাকিস্তান সরকারকে ভুগতে হবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পরতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি মন্তব্য করেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিমান নিয়ে তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার ফল ভুগতে হবে। এই নিয়ে তারা দুই সপ্তাহের মধেত্য দ্বিতীয়বার এইরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কোন অন্য দেশ কিন্তু তা করত না। আন্তর্জাজাতিক মঞ্চে এই সিদ্ধান্তের ফল ভুগতে হবে পাকিস্তানকে। আবারও পিছন থেকে ছুরি মারার পন্থা নিচ্ছে পাকিস্তান যার ফল তাদেরকেই ভুগতে হবে।