ভুটানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মধ্য-বামপন্থী লোটে শেরিং। তিনি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র। তিনি এমবিবিএস ২৮তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। বাংলাদেশ থেকেই এমবিবিএস ও এফসিপিএস করে দেশে ফিরে গিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। দেশটির তৃতীয় গণভোটে জয়লাভ করে লোটে শেরিং-এর মধ্য-বামপন্থী দল ড্রুক নাইয়ামরুপ শোগপা (ডিএনটি)। দেশটির পার্লামেন্টের ৪৭ আসনের মধ্যে ডিএনটি ৩০ টি আসনে জয়লাভ করে। ২০১৩ সালে জন্মলাভ করা এ দলটি গত ১৫ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনেও জয়লাভ করেছিল। ভুটানে নির্বাচন দুই দফায় হয়ে থাকে।
প্রথম দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জয় লাভ করে দ্বিতীয় দফায় ডিপিটি দলের ফেনসাম সগপার মুখোমুখি হন লোটে শেরিং। ফেনসাম সগপা ১৭ আসনে জয়লাভ করেছেন। শুক্রবার নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ভুটানকে নতুন করে গড়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। তার সরকারের মূল লক্ষ্য হবে দেশের কাঁধ থেকে বিদেশী ঋনের বোঝা নামানো। একইসঙ্গে দেশে বেড়ে চলা বেকারত্বের হার কমিয়ে আনার কথাও বলা হয়েছে। বর্তমানে ভুটানের গ্রামাঞ্চলগুলোতে দারিদ্রতা দেখা দিচ্ছে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ দমনও নতুন সরকারের জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ও অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সবগুলো দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়েছে ডিএনটি। নির্বাচনে পরাজিত দল ডিপিটির লক্ষ্য ছিল দেশটির জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। অপরদিকে, পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের থেকে ভুটানের ঋনের বোঝা কমানোর দিকেই নজর দিয়েছে ডিএনটি। এতেই হিমালয় পাদদেশে ৮০ লাখ মানুষের দেশ ভুটানে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ডিএনটি। ভুটান সরকারের দেয়া বৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশে পড়াশোনা করতে এসেছিলেন লোটে শেরিং। তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছাস প্রকাশ করেছে ময়মনসিংহ মেডিকেলের শিক্ষার্থী ও লোটে শেরিংয়ের সেসময়কার সহপাঠিরা।