যক্ষ্মা এক সময়ের একটি আতঙ্কের নাম। যক্ষ্মা নির্ণয়ের পদ্ধতির বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এ কে এম তাইফুর রহমান। বর্তমানে তিনি হেলথ ম্যানেজম্যান্ট বিডি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ।
প্রশ্ন : যক্ষ্মা নির্ণয়ের পদ্ধতিগুলো কী?
উত্তর : যক্ষ্মা নির্ণয়ের জন্য আমরা প্রথমে এমটি পরীক্ষা করি। এরপর স্পুটাম পরীক্ষা করি। এক্স-রে করা হয়, এফএনএসি করা হয়। এখন আধুনিক পরীক্ষা হলো জিন এক্সপার্ট। এই পরীক্ষাগুলো দিয়ে আমরা যক্ষ্মা নির্ণয় করি। এ ছাড়া এক্সট্রা পালমোনারিটিবির ক্ষেত্রে আরো কিছু পরীক্ষা করি।
প্রশ্ন : যক্ষ্মার কিছু ভাগ রয়েছে। সেগুলো কী হতে পারে?
উত্তর : যক্ষ্মা সাধারণত দুই রকম হয়। দুই রকম আমরা বলি। একটি হলো পালমোনারি টিবি, আরেকটি হলো এক্সট্রা পালমোনারি টিবি। পালমোনারি টিবি বলতে আমরা ফুসফুসের যক্ষ্মা বুঝি। আমরা যক্ষ্মা মানে সবাই এটি বুঝি যে ফুসফুসের যক্ষ্মা। তবে ফুসফুস ছাড়াও শরীরের যেকোনো অঙ্গে যক্ষ্মা হতে পারে। যেমন হাড়ে হতে পারে, লিভারে হতে পারে। মস্তিষ্কের মধ্যে হতে পারে, পাকস্থলীতেও হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রেও হতে পারে। গ্ল্যান্ডে টিবি হয়। আমাদের গলাতে বা ঘাড়ে বিভিন্ন জায়গায় লিম্ফনোটগুলো ফুলে যেতে পারে।খবর এনটিভি।