যশোর জেলার ৮ উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ঝিঙ্গা চাষ।এ অঞ্চলের সবজি চাষিরা ঝিঙ্গা চাষ করে লাভবান হওয়ায় প্রতি বছর জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ছে এ সবজির চাষ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,জেলার ৮উপজেলায় ৩শ’ হেক্টরের বেশি জমিতে ঝিঙ্গা চাষ হয়েছে। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় এ অঞ্চলের সবজি চাষিরা ঝিঙ্গা চাষের দিকে ঝুঁকছেন বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানান।
যশোর সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের সবজি চাষি মনোয়ার হোসেন জানান,তিনি প্রায় ২০ শতক জমিতে গত ৫ বছর ধরে ঝিঙ্গা চাষ করে আসছেন।বাজারে প্রতি কেজি ঝিঙ্গা বর্তমানে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।এ সবজি চাষে তেমন কোন খরচ নেই এবং উৎপাদিত ঝিঙ্গা বিক্রি করে তিনি বেশ খানিকটা স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানান।
যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম খালিদ সাইফুল্লাহ জানান,সারা দেশের মধ্যে যশোর জেলা বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপাদনে অন্যতম স্থান দখল করে নিয়েছে।এ জেলার উৎপাদিত সবজি স্তানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।এ জেলার ঝিঙ্গা সবজিও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।জনপ্রিয় এ সবজি উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক কাজী হাবিবুর রহমান বলেন,সহজ চাষ পদ্ধতি,সবজি হিসেবে ঝিঙ্গার বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় এবং উৎপাদিত ঝিঙ্গা ভালো দামে বিক্রি করতে পারায় সবজি চাষিদের কাছে ঝিঙ্গা চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক চন্ডীদাস কুন্ডু জানান,ন্বল্প বিনিয়োগে এ অঞ্চলের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিরা ঝিঙ্গা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ায় এবং এ সবজি চাষে কোন ঝুঁকি না থাকায় প্রতি বছর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ঝিঙ্গা চাষ বাড়ছে।চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলের ৭ জেলায় প্রায় ১হাজার হেক্টর জমিতে অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধ এ সবজির চাষ হয়েছে বলে তিনি জানান।জেলাগুলো হচ্ছে-যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর।