ডায়াবেটিস বা বহুমুত্র রোগ একেবারে শেষ হয়ে যায়। এটা থেকে প্রতিকার পাওয়াটা অসম্ভব হলেও এর প্রতিরোধে বা নিয়ন্ত্রণে দরকার কঠিক অধ্যবসায়। বিশ্বে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যে বড় এক হুমকি ডায়াবেটিস। এটা নতুন কথা নয়। আবার ডায়াবেটিস হলে কী করতে হবে, কী করা যাবে না কিংবা কী কী ব্যায়াম করা দরকার তাও সবাই কম-বেশি জানেন।
নিয়মিত ব্যায়াম থেকে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ উভয় ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা উপকার পেতে পারেন। খাবার ও অন্যান্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শ দেন তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। আর নিয়মিত ব্যায়ামের ক্ষেত্রে আরো কিছু পরামর্শ নিয়ে নিন।
নিয়মিত ব্যায়ামের উপকারিতা
১. রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে,
২. ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন কমে আসে,
৩. শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়,
৪. রক্ত চলাচল বাড়ে,
৫. চলাফেরায় হয়রান হতে হয় না,
৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে,
৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়,
৮. স্ট্রেস কমে।
যেভাবে শুরু করবেন
১. ধীরে ধীরে এবং ক্রমন্বয়ে শুরু করবেন,
২. দিনের যেকোনো সময় ব্যায়াম করতে পারেন,
৩. ব্যায়ামের ধরন অনুযায়ী পোশাক পরে নিন,
৪. ব্যায়ামের আগে ও পরে রক্তে চিনির পরিমাপ দেখে নিন,
৫. ক্ষুধা পেটে ব্যায়াম করবেন না, অন্তত হালকা স্ন্যাক্স খেয়ে নিন।
সঠিক ব্যায়াম বেছে নেওয়া
১. যেসব ব্যায়াম ভালো লাগে সেগুলোই করুন,
২. এলিভেটরের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যাবহার করুন,
৩. অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করুন,
৪. হাঁটুন, দৌড়ান এবং নাচানাচি করুন,
৫. সাঁতার এবং সাইকেল চালানো দারুণ ব্যায়াম,
৬. ব্যায়ামের আগে ওয়ার্ম আপ এবং বিশ্রামের নিয়ম মেনে চলবেন।
ব্যায়ামের গাইডলাইন
১. ব্যায়ামের সময় যেসব পেশি ব্যবহৃত হয় তাকে ইনসুলিন নেবেন না,
২. ব্যায়ামের পরিবর্তনের সঙ্গে রক্তে চিনির পরিমাপ দেখে নিন,
৩. হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কথা মাথায় রেখে সঙ্গে কার্বোহাইড্রেপূর্ণ খাবার এবং পানীয় রাখুন,
৪. আরামদায়ক জুতা পরে নিন,
৫. বাজে আবহাওয়ায় ব্যায়াম করলে নিজের বাড়তি যত্ন নিন, পানিশূন্যতা থেকে সাবধান থাকুন।