মহামারি করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আর সেজন্য প্রয়োজন সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। পাশাপাশি প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। ফলের রসের পরিবর্তে গোটা ফল চিবিয়ে খেলে ভালো। এতে পুষ্টি সাথে ফাইবারও পাওয়া যাবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। ফাস্টফুড, তেল-চর্বি ও মসলা জাতীয় খাবার যতটুকু সম্ভব পরিহার করুন।
আসুন খাবারগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেইঃ
ভিটামিনস ও মিনারেলঃ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিনস ও মিনারেল।
ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি এর প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে টক জাতীয় ফল, যেমন- লেবু, কমলা, মাল্টা, আমড়া ও জাম্বুরা ইত্যাদি। প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া ভিটামিন সি-এর কার্যকারিতা বেশি।
ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি এর প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে সূর্যরশ্মি। যা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শরীরের কিছু অংশ উন্মুক্ত করে (যেমন মুখমণ্ডল, হাত বা ঘাড় ইত্যাদি) আপনি কাজে লাগাতে পারেন। এ ছাড়াও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ডিমের কুসুম, মাছের তেল, ওমেগা, গরুর কলিজা, চিজ এগুলো খেতে পারেন।
জিংকঃ ফ্লু বা সর্দি-কাশি উপসর্গে জিংকের বেশ উপকারিতা রয়েছে। জিংক-সমৃদ্ধ খাবারগুলো হচ্ছে আদা, রসুন, ডাল, বিন্স, বাদাম ও সামুদ্রিক মাছ ইদ্যাদি।
মধুঃ মধুতে এমন কিছু জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, যেমন-হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, নাইট্রিক অক্সাইড। তাই ফ্লু উপসর্গে মধু বেশ উপকারি। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানে খেতে হবে।
প্রোবায়োটিকসঃ দই ও চিজ ইত্যাদি খাবারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সর্বোপরি শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীরচর্চা অপরিহার্য। হাঁটাহাটি, সাইক্লিং, ইয়োগা, ওয়েট শিফ্টিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, এমনকি নফল নামাজ পরাও আপনার শরীর চর্চার উপায় হতে পারে।