বর্তমান বিশ্বে যে রোগগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। ডায়াবেটিস নিঃসন্দেহে একটি মারাত্মক রোগ। এটি কোনও জীবাণু ঘটিত রোগ বা ছোঁয়াচে রোগ নয়। শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিনের অভাবে অথবা ইনসুলিনের কার্যকারীতা হ্রাস পাওয়ার কারণে এই রোগ দেখা দেয়। অতিরিক্ত মোটা ব্যক্তি যারা অধিক খাদ্য গ্রহণ করেন এবং যারা কায়িক পরিশ্রম করেন না বা কম করেন তাদের এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেশী। শুধু মোটা নয় হাল্কা-পাতলা ব্যক্তিরও ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে পূর্বপূরুষের এই রোগ থাকলে কোনও ব্যক্তির ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। ডায়াবেটিস কোনও নিরাময় যোগ্য রোগ নয়, এটি শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণযোগ্য।কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেতেই হবে এই ৬টি ফল।
আপেল : আপেলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম করতে ভালো কাজ দেয় এই ফাইবার। আপেলের মধ্যে রয়েছে পেকটিন। এটি ব্লাড সুগার কম করতে সাহায্য করে।
বেরি : গ্লুকোজ ভেঙে তাকে শক্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা রয়েছে বেরির। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে। পাশাপাশি বেরির মধ্যে থাকা একটি উপাদান ইনসুলিন ক্ষরণেও সাহায্য করে। ফলে দেহে ইনসুলিন ক্ষরণ স্বাভাবিক রাখে।
পেয়ারা : ডায়াবেটিস রোগীদের একটি বড় সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে। এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কম করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রোগীকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।
পেঁপে : পেঁপের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। রক্তে গ্রুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে রোগীর হার্ট, নার্ভের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিয়মিত পেঁপে খেলে তা কিছুটা রুখে দেওয়া যায়।
জাম : ডায়াবেটিসে জাম বিশেষ উপকারী। জামের মধ্যে থাকা একটি বিশেষ উপাদান খাবারের স্টার্চকে ভেঙে দেয়। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক থাকে। সুগার রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব ও তৃষ্ণার প্রবণতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
আমলকি : ক্রোমিয়ামের একটি বড়সড় উৎস হলো আমলকি। অগ্নাশয়কে সুস্থ রাখতে ক্রেমিয়াম খুবই উপকারী।