সিলভাস্টার এইচ রোপার: অটোমোবাইল ও মোটরসাইকেলের জনক। তিনি স্টিম প্রপেলড বাইসাইকেলের আবিষ্কর্তা। ১৮৯৬ সালে ম্যাসাচুসেটসে রিভার বাইসাইকেল ট্র্যাকে নিজের আবিষ্কৃত সাইকেল চালিয়ে পরীক্ষা করছিলেন। ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল সাইকেল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
ফ্রাঁ রেইক্লে: ‘ফ্লাইং টেলর’ নামে পরিচিত তিনি। আবিষ্কার করেছিলেন প্যারাশুট পোশাক। সেটা পরীক্ষার জন্য পাঁচ তলা বাড়ি থেকে লাফ দেন। সফল হয় সে পরীক্ষা। আরও উঁচু থেকে লাফ মারলে কেমন কাজ করে তা পরীক্ষা করতে আইফেল টাওয়ার থেকে লাফ মারেন। প্যারাশুট না কাজ করায় আইফেল টাওয়ারের নীচে আছড়ে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
মেরি কুরি: পোলোনিয়াম ও রেডিয়ামের আবিষ্কর্তা। গবেষণাকালীন পকেটে রেডিয়ামের টেস্ট টিউবগুলো রাখতেন। ধীরে ধীরে তাঁর দেহে তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব পড়তে থাকে। আর তা থেকেই এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। ৬৬ বছর বয়সে ১৯৩৪ সালে মৃত্যু হয় তাঁর।
জ্যঁ ফ্রাসোয়াঁ পিলাত্রে দ্য রজিয়া: রসায়ন ও পদার্থবিদ্যার শিক্ষক ছিলেন। হট এয়ার বেলুনের আবিষ্কর্তা তিনি। তাঁরই তৈরি বেলুনে চেপে ইংলিশ চ্যানেল পার করার সময় সেটি ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় জ্যঁ ফ্রাসোয়াঁ ও তাঁর এক সঙ্গীর।
ম্যাক্স ভ্যালিয়ার: অস্ট্রিয়ার বিজ্ঞানী। লিকুইড ফুয়েলড রকেট ইঞ্জিনের আবিষ্কর্তা। ১৯২০-র শেষের দিকে ভ্যালিয়ার হেল্যান্ড র্যাক ৭ নামে একটি রকেট কার তৈরি করেন। গবেষণাকালীন সেই রকেট ইঞ্জিন ফেটে ১৯৩০-এ মৃত্যু হয় তাঁর।
ওটো লিলয়েনথাল: ‘গ্লাইডার কিং’ নামে পরিচিত ছিলেন এই জার্মান বিজ্ঞানী। আবিষ্কার করেছিলেন ‘হ্যান্ড গ্লাইডার’। ১৮৯৬ সালে নিজের তৈরি গ্লাইডারের পরীক্ষার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ৫০ ফুট উপর থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
উইলিয়াম বুলক: ওয়েব রোটারি প্রিন্টিং প্রেসের আবিষ্কর্তা। ফিলাডেলফিয়ায় তাঁর তৈরি প্রেস মেশিন ইনস্টল করার সময় তাতে পা আটকে যায়। ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় পা। গ্যাংরিন হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
হোরাস লসন হানলি: বিশ্বের প্রথম কমব্যাট সাবমেরিন আবিষ্কার করেন হানলি। তিনি সিএসএস হানলি নামে পরিচিত। ১৮৬৩ সালে সাত জন ক্রু-কে নিয়ে সেই সাবমেরিনে রুটিন মহড়া দিচ্ছিলেন। সাবমেরিনটি আর ভেসে ওঠেনি। হামলি-সহ ৮ জনের সলিল সমাধি হয়।
আলোকজান্ডার বগড্যানভ: রক্ত প্রতিস্থাপন নিয়ে গবেষণা করা কালীন মৃত্যু হয় এই রাশিয়ান আবিষ্কর্তার। বগড্যানভ-এর গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল রক্ত প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে যৌবন ধরে রাখা। সেই গবেষণার সময় ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মায় আক্রান্ত এক ছাত্রের রক্ত নিজের শরীরে প্রতিস্থাপন করেন। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ভ্যালেরিয়ান অ্যাবাকোভস্কি: অ্যারোওয়াগন-এর আবিষ্কর্তা। এটা একটা দ্রুতগতির রেলকার। এতে বিমানের ইঞ্জিন লাগানো হয়েছিল। ছিল একটা প্রপেলারও। ২১ জনকে নিয়ে ওয়াগনটির টেস্ট রানের সময় সেটি লাইনচ্যুত হয়। সেই ঘটনায় আবিষ্কর্তা-সহ ৬ জনের মৃত্যু হয়।-আনন্দবাজার