যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলা করলে কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রেখে নতুন একটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ৭মে ২০১৮ সোমবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, “খসড়া আইনে নতুন একটি বিধান যুক্ত করা হয়েছে। যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলা করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।”
শফিউল আলম জানান, ১৯৮০ সালে দ্য ডাউরি প্রহিবিশন অর্ডিন্যান্স করে সরকার। ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে এর সংশোধন করা হয়। ওই অর্ডিনেন্সকে হালনাগাদ করতে নতুন করে আইন করা হচ্ছে।
“আগের যে প্রভিশনগুলো ছিল সেগুলো মোটামুটি একই রকম আছে। সামান্য একটু পরিবর্তন করে এটাকে আনা হয়েছে। সাজা আগের মতো রাখা হলেও জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।”
মিথ্যা মামলা সংক্রান্ত সাজার বিষয়ে বলা হয়েছে, “যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতি সাধনের অভিপ্রায়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে মামলা বা অভিযোগ করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নেই জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান তাহলে তিনি বা তারা অনধিক ৫ বছর মেয়াদের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।”