রফতানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনা, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিযোগিতামূলক করা এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে দেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে ‘রফতানি নীতি-২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ (৬ নভেম্বর) তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমান রফতানি নীতি ২০১৫-১৮ হালনাগাদ করে নতুন রফতানি নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন রফতানি নীতিতে আগের নীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সংজ্ঞা বিষয়ক একটি পৃথক ও নতুন অধ্যায় সংযুক্ত করা হয়েছে এবং নমুনা, সুগন্ধী চাল ও পরোক্ষ রফতানির মত বিষয়গুলো সম্পর্কে নতুন সংজ্ঞা যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, ডেনিম, একটিভ ফার্মাসিটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) এবং রি-এজেন্ট (চামড়া, অ-চামড়া এবং সিনথেটিক থেকে তৈরি জুতা)-এর মত তিনটি নতুন খাত যোগ করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাতের সংখ্যা ১৫টিতে দাঁড়িয়েছে।’
নতুন নীতিতে হালকা প্রকৌশল পণ্য (মটর সাইকেল, ব্যাটারি), ফটোভলটাইক মোডিউল (সোলার এনার্জি), কাজু বাদাম (কাঁচা ও প্রক্রিয়াজাত) জ্যান্ত ও প্রক্রিয়াজাত কাঁকড়া এবং খেলনার মত পাচঁটি নতুন পণ্য বিশেষ উন্নয়ন ভিত্তিক খাত হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পাশাপাশি, ওয়েট ব্লু চামড়ার উপজাত পণ্য ওয়েট ব্লু স্পিল্ট লেদারকে রফতানিযোগ্য পণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।’