মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে এক শিশু–সহ অন্তত পাঁচ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে রোববার জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
শনিবার রাখাইনের এমরাউক ইউ শহরের ঐতিহাসিক একটি মন্দির অতিক্রম করার সময় সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। এই হামলার পর সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় দেশটির সরকারি বাহিনীকে দায়ী করেছেন আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিন থু খা।
এদিকে, রাখাইনের প্রত্যন্ত ওই এলাকায় হামলার বিস্তারিত তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। সহিংসতায় বিধ্বস্ত এই অঞ্চলে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ির আছে। এছাড়া ইন্টারনেট সংযোগও সচল নেই রাখাইনে।
এর আগে, গত জানুয়ারিতে রাখাইনে বিস্ফোরণে চার রোহিঙ্গা শিশুর প্রাণহানি ঘটে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মি এই বিস্ফোরণের জন্য পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করে।
এর সপ্তাহ খানেক পরে বুথিডং শহরের একটি গ্রামে সেনাবাহিনীর ছোড়া গোলার আঘাতে দুই নারীর প্রাণ যায়।রাষ্ট্রবিহীন নিপীড়িত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের সুরক্ষায় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত মিয়ানমারকে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়ার মাত্র দুদিন পর এই ওই দুই নারী মারা যান।
সেই সময়ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী গোলায় দুই নারীর প্রাণহানির জন্য আরাকান আর্মিকে দায়ী করে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর পদ্ধতিগত নিধনের অভিযোগ এনে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।