ডিএমপি নিউজঃ গ্রিলকাটা চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আব্দুল গাফফার (দলনেতা), নজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ, রিপন, মাসুদ তালুকদার ও মাসুদ। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ০৮টি মোবাইল সেট, ০৭ টি ল্যাপটপ ও ১৮টি মোবাইল সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
২৮ এপ্রিল ২০২১(বুধবার) দিবাগত রাতে রাজধানীর ডেমরা ও কদমতলী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
প্রসঙ্গত, অজ্ঞাতনামা চোরেরা গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ রাতে বিমানবন্দর থানার উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের প্রপার্টি কানেক্ট এর অফিসে কৌশলে প্রবেশ করে। সেখান থেকে একটি আইপ্যাড, একটি আইফোন ৪, ১২/১৪ টি অব্যবহৃত ফোন সেট, দুটি ল্যাপটপ ও নগদ ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জনৈক মোঃ ওয়ালিউল আজিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (সোমবার) বিমানবন্দর থানায় মামলা রুজু হয়। এই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল হক জানান, এ মামলা ছায়া তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রিলকাটা চোর চক্রের সদস্যদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই মোবাইল, ল্যাপটপ ও ভূয়া নিবন্ধিত মোবাইল সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এই চক্রের সদস্যরা রাজধানীসহ নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও টংগী এলাকার বাসা ও অফিসের জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী চুরি করত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সংক্রান্তে তিনি আরো বলেন, এ চক্রের সদস্যরা দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে টার্গেট ঠিক করে। গ্রেফতারকৃত রিপন পিকআপ গাড়ি নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করত। গ্রেফতারকৃত আব্দুল গাফফার ও মাসুদ বাহিরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করত। গ্রিল ভেঙ্গে বাসা বা অফিসের ভেতরে প্রবেশ করতো নজরুল ওরফে সোহাগ। চুরি করা মালামাল পিকআপ যোগে গাফফারের বাসায় নিয়ে ভাগাভাগি করতো। মাসুদ তালুকদার ল্যাপটপ ও মোবাইল অনলাইন প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতো। বিজ্ঞাপন দেয়ার কাজে সে ভূয়া নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করতো।
গ্রেফতারকৃতদের ০৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।