ডিএমপি নিউজ: ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ট্রাফিক শৃংখলা আনয়নের লক্ষ্যে গত ০৫-১৪ আগস্ট-২০১৮ খ্রিঃ ঢাকা মহানগরীতে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন ও ০৫-৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ খ্রিঃ পর্যন্ত মাসব্যপী ট্রাফিক আইনের কঠোর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ট্রাফিক সচেতনতা মাস পালন এবং ২৪-৩১ অক্টোবর ২০১৮ খ্রিঃ পর্যন্ত ট্রাফিক শৃংখলা সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক গাইড বুক প্রকাশ ও প্রচার, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান, টার্মিনালে সভা সমাবেশ, সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন, লিফলেট, পোস্টার বিতরণ, পথচারীদের ফুটওভারব্রীজ, আন্ডারপাস ও জেব্রাক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারে উদ্বুদ্ধকরণসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত এসকল কর্মসূচিতে সড়কে ট্রাফিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি জনসাধারাণকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ট্রাফিক পুলিশের সাথে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট/রোভার স্কাউটস্/বিএনসিসি ও বাংলাদেশ গার্ল গাইডস্ সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হয়েছিল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক ট্রাফিক সপ্তাহ, ট্রাফিক শৃংখলা সপ্তাহ ও ট্রাফিক সচেতনতা মাস পালনের মাধ্যমে ট্রাফিক আইনের কঠোর বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে ঢাকা শহরের ট্রাফিক শৃংখলার উন্নতি হচ্ছে। ট্রাফিক আইন না মানার সংস্কৃতি এবং ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সুবিধা ও বিভিন্ন সমস্যার কারনে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব না হলেও ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং জনসচেতনতার ফলে ঢাকা শহরে ট্রাফিক শৃংখলার উন্নতি এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত আগামী ১৫ হতে ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯ পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় টাকা মহানগরীতে ট্রাফিক শৃংখলা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এমতাবস্থায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত আগামী ১৫ হতে ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯ খ্রিঃ পর্যন্ত ট্রাফিক শৃংখলা কার্যক্রমে ঢাকা মহানগরীর জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণে এবং ট্রাফিক শৃংখলার উন্নতিকল্পে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত ট্রাফিক শৃংখলা কার্যক্রম সফল করার জন্য সম্মানিত নগরবাসীদেরকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ট্রাফিক শৃংখলার উন্নয়নে ১৫ হতে ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯ খ্রিঃ পর্যন্ত যেসকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবেঃ–
১। ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, গাইড বই বিতরণ।
২। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সম্মানিত সদস্যবৃন্দকে নিয়ে ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন সমূহে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন।
৩। রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্ল গাইডস, বিএনসিসি সদস্যদের ট্রাফিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা।
৪। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর ও দক্ষিনের সাথে সমন্বয় করে অবশিষ্ট জেব্রা ক্রসিং/রোড মার্কিংগুলো দৃশ্যমান/স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫। মূল সড়কের পাশে অবস্থিত স্কুল কলেজের ক্লাশ শুরু এবং ছুটির সময়ে উক্ত এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ও স্কুল কলেজের ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা এবং এসব অঞ্চলে যথাযথ ট্রাফিক সাইন স্থাপন করা।
৬। হাইড্রলিক হর্ণ, দ্রুতগতির যানবাহন, বেপরোয়াগতি, হুটার, বিকন লাইট, উল্টো পথে চলাচল এবং মোটর সাইকেলের আরোহীদের হেলমেট পরিধানসহ সকল প্রকার ট্রাফিক আইন লংঘনের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিশেষ ট্রাফিক অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
৭। ঢাকা মহানগরী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ২৯ টি পয়েন্টে চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
৮। ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি ফুটওভারব্রীজ ব্যবহারে পথচারীদের উদ্বুদ্ধকরণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
৯। গাড়ী চালানোর সময় স্টপেজ ব্যতীত সকল সময় গাড়ীর দরজা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ।
১০। জেব্রা ক্রসিং এর আগে Stop লাইন বরাবর গাড়ী থামানো এবং স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ী থামানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বামলেন ঘেষে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ী থামিয়ে যাত্রী উঠানামা নিশ্চিত করা।
১১। ভিডিও মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
১২। ইতোপূর্বে মডেল করিডোর হিসেবে ঘোষিত বিমান বন্দর হতে শহীদ জাহাঙ্গীর গেইট, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, শাহবাগ, মৎস ভবন, কদম ফোয়ারা, পুরাতন হাইকোর্ট হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভিআইপি সড়কের ইন্টারসেকশন সমূহে রিমোর্ট কন্ট্রোল সরবরাহ নিশ্চিত করে অটোমেটিক ও রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিগন্যাল পরিচালনা করা।
১৩। ফার্মগেট হতে সাতরাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটিকে গাড়ী চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা।