ডিএমপি নিউজ : এক রাজনীতিবিদের আত্মীয়ের নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতের নাম আসাদুজ্জামান পলাশ। সে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মানিকপুরের (শাহজিবাজার) মোঃ ফুল মিয়ার ছেলে।
সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুল হোসেইন তুহিন ডিএমপি নিউজকে জানান, একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তির আত্মীয়ের নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে ঐ আইডি দিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করে আসাদুজ্জামান পলাশ। সেই আইডি থেকে ঐ প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তির পরিচয় ব্যবহার করে সদ্য অনার্স-মাস্টার্স শেষ করা তরুণীদের টার্গেট করে চাকরি দেওয়ার নামে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিতো এইচএসসি পাস এ প্রতারক। তার কাছ থেকে ১২টি ফেসবুক আইডি উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মেয়েদের নামে ভুয়া আইডি। এসব আইডি থেকে সে নিজেই তদবিরে চাকরি পেয়েছে বলে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে পোস্ট করতো। এসব পোস্টে কেউ কমেন্ট করলে তাকে ওই আইডি থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তির আত্মীয়ের নামে প্রতারক পলাশ কর্তৃক পরিচালিত ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হতো। পরে ভুক্তভোগী তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে চাকরি দেওয়ার নাম করে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে ভুক্তভোগীকে ব্লক করে দিতো।
জানা যায়, গত তিন বছর ধরে পলাশ বিভিন্ন ব্যাংক, বিমান সংস্থা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভুক্তভোগীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিলো। এ সময়ে সে অন্তত অর্ধশত ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুল হোসেইন তুহিন আরো জানান, পলাশ তার ওপর বিশ্বাস অটুট রাখতে প্রেমিকাদের নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে রাখতো প্রতারণার সব অর্থ। তবে অর্থের নিয়ন্ত্রণ থাকত পলাশের নিজের হাতেই। তার প্রেমিকারা জানে না কোথা থেকে আসতো এসব অর্থ। এছাড়া তার প্রকৃত নাম-ঠিকানাও জানে না তারা। পলাশকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
এ বিষয়ে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মতিঝিল থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলাটি সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে হস্তান্তর হলে সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আরিফুল হোসেইন তুহিনের নেতৃত্বে প্রতারক পলাশকে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন কেউরচিরা নামক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং রিমান্ড শেষে তাকে আবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।