আগের ম্যাচেই খুলনা টাইটানসের মাত্র ১২৮ রান টপকাতে পারেনি রাজশাহী কিংস। মাত্র ১০৩ রানে ইনিংস গুটিয়ে নিয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সেই দলটিই কি না ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১৩৬ রান করেও জয় তুলে নিয়েছে। আসরে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পাওয়া সাকিব আল হাসানের দলের বিপক্ষে তারা ২০ রানের দারুণ জয় তুলে নিয়েছে।
মিরাজের অধিনায়কত্ব গুণে আরেকটি বড় ম্যাচে জয় পেয়েছে রাজশাহী। এর আগে মাশরাফি বিন মুর্তজার রংপুর রাডার্সকে হারিয়ে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, এই ম্যাচে বল হাতেও বেশ উজ্জ্বল ছিলেন তরুণ স্পিনার মিরাজ। তিন ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন। তবে সবচেয়ে সফল ছিলেন আরাফাত সানি, চার ওভারে ৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ঢাকার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাই দলও দারুণ একটি জয় পেয়েছে।
এর আগে রাজশাহী প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুব বড় সংগ্রহ গতে পারেনি। মুমিনুল হকের বদলে একাদশে নামা শাহারিয়ার নাফিস ২৫ এবং সৌম্য সরকারের বদলে নামা মার্শাল আইয়ুব ৪৫ রান করে দলকে একটা সম্মানজনক সংগ্রহ গড়ে দেন। রাজশাহীর হয়ে এই দুটি ইনিংসেই ছিল সর্বোচ্চ। এদিন ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় দুই রানের মাথায় মাত্র এক রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
ঢাকার হয়ে সুনীল নারিন ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার। চার ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। এ ছাড়া রুবেল হোসেন, আন্দ্রে রাসেল ও আলিস ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।
এই জয়ের সুবাদে রাজশাহী ছয় পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। ছয় ম্যাচে তিনটিতে জিতেছে এবং তিনটিতে হেরেছে। পাঁচ ম্যাচে আট পয়েন্ট নেওয়া ঢাকা ডায়নামাইটস রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।