প্রতিদিন রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। আর কম ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটা কতোটা ক্ষতিকর তা সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
দ্য স্লিপ কাউন্সিলের ওই গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ দিনে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা বা তার চেয়ে কম ঘুমান। ফলে তাদের শরীর, মন ও মস্তিষ্কে এর অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। আর হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, যারা দিনে আট ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। কারণ অপর্যাপ্ত ঘুম অস্বাভাবিক মৃত্যুর আশঙ্কা ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
অপর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা রাতে গড়ে ৬ ঘণ্টা করে ঘুমান, তাদের কোমরের মাপ যারা ৯ ঘণ্টা করে ঘুমান তাদের চেয়ে প্রায় ৩ সেন্টিমিটার বেশি। তাই রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে এখনই সাবধান হোন।
চলুন জেনে নেই কম ঘুমানোর ক্ষতিকর দিকগুলো—
১. কম ঘুমালে অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগার কারণে স্বাস্থ্য মোটা হয়ে যায়। দেখা দিতে পারে টাইপ-২ ডায়াবেটিসও।
২. কম ঘুমে শরীরে HDL কোলেস্টেরল বা ‘গুড কোলেস্টেরল’ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
৩. দীর্ঘদিন ধরে ঘুম কম হলে ক্যানসারের আশঙ্কাও বাড়ে।
৪. নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের নানা ধরনের জটিল রোগ দেখা দিতে পারে।
৫. এছাড়া কম ঘুমালে মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগ ভুগতে পারেন আপনি।
৬. যারা কম ঘুমান অল্পতেই রেগে যাওয়া বা সারাক্ষণ মন খারাপের অনুভূতি দেখা যায় তাদের মধ্যে।
৭. ঘুম কম হলে অবসাদে ভুগতে পারেন আপনি।
৮. কম ঘুমের ফলে চট করে ঠান্ডা লাগার সমস্যা দেখা যায়।
তাই শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু জীবনের জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন। প্রতিদিন রাতে আগে আগে ঘুমাতে যান, ভোরে ঘুম থেকে জাগুন। আর দীর্ঘদিনে অনিদ্রা বা কম ঘুমের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।