নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টেস্টে দারুণ শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া৷ কিন্তু মার্নাস ল্যাবুশেনের সেঞ্চুরির পাশে শুক্রবার এসসিজি-তে স্টিভ স্মিথের ব্যাটিং ছিল নেতিবাচক৷ কারণ প্রথম রান করতে এদিন ৩৯ বল খেলেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক৷
সিডনিতে শুক্রবার প্রথম দিনের শেষে ল্যাবুশেনের অপরাজিত সেঞ্চুরি এবং স্মিথের হাফ-সেঞ্চুরির দৌলতে তিন উইকেটে ২৮৩ তুলেছে অজিবাহিনী৷ ১৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন ল্যাবুশানে৷ তবে ৬৩ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন স্মিথ৷ কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরি করলেও সবচেয়ে বেশি বলে খাতা খোলার ক্ষেত্রে এদিন নজির গড়েন টপ-অর্ডার অজি ব্যাটসম্যান৷
সিডনিতে এদিন রানের খাতা খুলতে ৪৩ মিনিট ৩৯ বল খরচ করেন স্মিথ। যা তাঁর কেরিয়ারের দীর্ঘতম। এর আগে ২০১৪ ভারতের বিরুদ্ধে মেলবোর্নে রানের খাতা খুলতে ১৮ বল নিয়েছিলেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক। খাতা খুলতে এদিন রেকর্ড গড়লেও সিডনির গ্যালারির প্রশংসা কুড়িয়ে নেন স্মিথ। ১৯৯১-এ ডেভিড বুনের পর কোনও অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান টেস্টে খাতা খুলতে এত বেশি বল খেলেননি৷
দাবানলের ভ্রুকুটি এড়িয়ে সিডনিতে এদিন নির্ধারিত সময়েই খেলা শুরু হয়। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক টিম পেইন। লম্বা হয়নি ওপেনার জো বার্নসের ইনিংস। মাত্র ১৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। অর্ধশতরান থেকে পাঁচ রান দূরে দাঁড়িয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর জুটি বাঁধেন ল্যাবুশেন-স্মিথ জুটি।
তৃতীয় উইকেটে ল্যাবুশেন ও স্মিথ ১৫৬ রান যোগ করে দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেন৷ ল্যাবুশেন টেস্টে কেরিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি করলেও ব্যক্তিগত ৬৩ রান করে গ্র্যান্ডহোমের বলে টেলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন৷ স্মিথের ইনিংস ছিল অত্যন্ত রক্ষণাত্মক৷ ১৮৪ বলের ইনিংসে মাত্র ৪টি বাউন্ডারি মারেন তিনি৷
যতদিন যাচ্ছে, তত চওড়া হচ্ছে ল্যাবুশেনের উইলো। পারথে প্রথম টেস্টের পর ফের তিন অঙ্কের রান এল তাঁর ব্যাট থেকে। ২০১৯ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক ১১০৪ রান করেন ল্যাবুশেন। শুক্রবারও বছরের প্রথম টেস্ট ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফের ইতিবাচক বার্তা দিলেন ল্যাবুশেন। কেরিয়ারের ১৪টি টেস্টে চতুর্থ শতরান হাঁকিয়ে ফেললেন টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম কনকাশন রিপ্লেসমেন্ট।